photo.phpএকরাম হত্যা

প্রথম-ফেনী ৩০ মে,
ফেনীর একরাম চেয়ারম্যানের ৩ খুনিকে জিয়াউল আলম মিস্টার ফেনী ছাড়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। স্বীকারোক্তিতে গ্রেফতারকৃত ৩ আসামি এ তথ্য দিয়েছে। ফেনীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল আমিন ৩ আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেছেন। জেলা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ ও আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। এতে খুনিরা তাদের রক্ষাকর্তা জেলা যুবলীগ নেতা জিয়াউল আলম মিস্টারের নাম প্রকাশ করেছেন। খুনের কাজে অংশ নেয়ার কথা স্বীকার করে গ্রেফতারকৃত ৩ আসামি বলেন, একরাম চেয়ারম্যান খুন হওয়ার পর তারা জিয়াউল আলম মিস্টারের বাসায় যান। সেখান থেকে বিকালে তাদের সিএনজিযোগে মিস্টার বাহিনীর সদস্যরা এসএসকে সড়কের ফেনী এফ রহমান এসি মার্কেটের সামনে নিয়ে আসেন। সেখানে পূর্ব থেকে অবস্থান করা একটি প্রাইভেট কারে তাদের তুলে দেয়া হয়। এরপর তারা ঢাকা গিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি বাসায় অবস্থান নেন।
এ দিকে খুনের বিষয়টি চৌধুরী নাফিজ উদ্দিন অনিক তার চাচা জেলা তাঁতী দলের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীকে জানিয়েছেন। মিনার চৌধুরী কর্মব্যস্ত থাকায় তিনি বিষয়টি নিয়ে তারা পিএসকে অনিকের সঙ্গে কথা বলতে বললে এপিএস কথা বলে একরাম চেয়ারম্যান খুনের বিষয়টি নিশ্চিত হন। এ তথ্য পুলিশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বুধবার দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক ফেনী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক বাপ্পিকে বুধবার রাতে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে তার নিজ হাতে ব্যবহৃত কিরিজ ঘটনাস্থলের পাশের ড্রেন থেকে উদ্ধার করেছে। বাপ্পি একরাম চেয়ারম্যানের মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার নিজ হাতে থাকা কিরিজ দিয়ে বুকের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
বিকালে বাপ্পির ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে ফেনীর চিফ জুডিশিয়াল বিচারক খায়রুল আমিন তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সূএ-যুগান্তর