ঢাকা: দলগত নৈপূণ্যের অসাধারণ প্রদর্শনীতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ফাইনালে উঠে এসেছে সাকিব আল হাসানরা। বুধবার কলকাতার ইডেন গার্ডেনে অনুষ্ঠিত কোয়ালিফায়ার পর্বের ম্যাচে তারা টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ধারাবাহিক দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে ২৮ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো এ আসরের ফাইনালে উঠে এলো।

প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে মঙ্গলবার খেলা না হওয়ায় বুধবার রিজার্ভ ডেতে গড়ায় গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচটি। আর্দ্র পিচের সুবিধা নেয়ার জন্য টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাঞ্জাব অধিনায়ক জর্জ বেইলি। কিন্তু দলগত প্রচেষ্টায় বেইলির সিদ্ধান্তকে অসার প্রমাণ করেন কলকাতার ব্যাটসম্যানরা।

জয়ের জন্য ১৬৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাঞ্জাব ইনিংসের শুরু থেকেই উমেশ যাদব, মরনে মরকেলের নিয়ন্ত্রিত পেস বোলিংয়ে কোনঠাসা হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় উইকেটে ঋদ্ধিমান সাহা ও মনন বোহরা কিছুটা লড়াই করে ৪০ রান যোগ করলেও দুজনই মরনে মরকেলের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন। চলতি আসরের সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান হিসেবে চিহ্নিত গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের উইকেটসহ গুরুত্বপূর্ণ ৩ উইকেট শিকার করেন উমেশ যাদব ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রানের অসামান্য বোলিং বিশ্লেষণের সাহায্যে। ফলে জয়ের নাগাল পায়নি বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতার দল। নির্ধারিত ওভার শেষে তারা ৮ উইকেটে মাত্র ১৩৫ রান সংগ্রহে সক্ষম হয়।

দলের পক্ষে ঋদ্ধিমান সাহা সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন ৩১ বলে দুটি করে চার ও ছক্কার মাধ্যমে। এছাড়াও অধিনায়ক জর্জ বেইলি মাত্র ১৭ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৬ এবং মনন বোহরা ১৯ বলে ৩ ছক্কায় ২৬ রান করেন। কলকাতার পক্ষে উমেশ যাদব ছাড়াও মরনে মরকেল ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রানের খরচায় দুটি উইকেট নেন। এছাড়াও পিযুশ চাওলা ৪ ওভারে ২৩ রানে এবং সাকিব ৪ ওভারে ৪৩ রানে একটি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কলকাতা ওপেনার রবিন উথাপ্পার ধারাবাহিক নৈপূণ্য ও অন্যদের সহযোগিতায় নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৩ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়ে। উথাপ্পা মাত্র ৩০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪২ রানের চমকপ্রদ ইনিংস খেলেন। এছাড়াও মনিশ পাণ্ডে ২১, সুর্যকুমার যাদব মাত্র ১৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২০ এবং ইউসুফ পাঠান ২০ রান করেন। সাকিব ১৬ বলে ২ চারে ১৮ রান করেন।

পাঞ্জাবের পক্ষে করনবির সিং ৪০ রানে ৩ উইকেট তুলে নিলেও অসাধারণ বোলিং নৈপূণ্য দেখান বাঁহাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেল। তিনি ৪ ওভার বোলিং করে ১ মেডেন ওভারসহ মাত্র ১১ রানে দুটি উইকেট তুলে নেন। মিচেল জনসন ৩১ রানে ২ উইকেট নেন। উমেশ যাদব অসামান্য এ বোলিং নৈপূণ্যের জন্য ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় মনোনীত হন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

কলকাতা ২০ ওভার ১৬৩/৮ (উথাপ্পা ৪২, পাণ্ডে ২১, ইউসুফ ২০, যাদব ২০, সাকিব ১৮, চাওলা অপরাজিত ১৭, ডোশাটে ১৭, করনবির ৩/৪০, অক্ষর প্যাটেল ২/১১, জনসন ২/৩১)

পাঞ্জাব ২০ ওভার ১৩৫/৮ (ঋদ্ধিমান ৩৫, বোহরা ২৬, বেইলি ২৬, ঋষি ধাওয়ান ১৪, জনসন অপরাজিত ১০, উমেশ ৩/১৩, মরকেল ২/২৩, পিযুশ ১/২৩, সাকিব ১/৪৩)

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: উমেশ যাদব