নিজস্ব প্রতিনিধি->>

ফেনীতে বিএনপি-জামায়াতের হরতালে নাশকতা ও ভাঙচুরের অভিযোগে ফেনী জেলার ৫টি থানায় ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদের মধ্যে সোমবার সকাল পর্যন্ত ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার দুপুরে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফেনী মডেল থানার ওসি শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ফেনীতে হরতালে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ ও নাশকতা অভিযোগে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় এজহারনামীয় ১৬ জনকে ও অজ্ঞাত বিপুল সংখ্যককে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া আরও তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ছাগলনাইয়া থানার ওসি সুদ্বীপ রায় পলাশ জানান, হরতালে গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছে। মামলায় এজহারনামীম ১১জনকে ও অজ্ঞাত আরো বিপুল সংখ্যককে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় এজহারনামীয় ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

দাগনভূঞা থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন জানান, রোববার রাতে ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের দাগনভূঞার দুলামিয়া কটন মিলের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাংচুর করে হরতাল ও অবরোধ সমর্থনে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। এসময় সিএনজিচালিত অটোরিকশার গ্লাস ভাংচুর করে। হরতালে দাগনভূঞার বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও তিনদিনের আবরোধকে কেন্দ্র করে গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে পুলিশ বাদি হয়ে এজহারনামীয় ২৮ জনকে ও অজ্ঞাতনামা বিপুল সংখ্যককে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় এজহারনামীয় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. হাসান ইমাম জানান, হরতালে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নাশকতার অভিযোগ পুলিশের দায়ের করা মামলায় ১৬ জনকে এজহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এছাড়া ফুলগাজীতেও নাশকতার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল জানান, হরতালকে কেন্দ্র করে জেলার প্রতিটি থানায় গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।