সোনাগাজী প্রতিনিধি->>

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ফেনী-৩ (সোনাগাজী ও দাগনভূঞা) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তৎপরতা চালাচ্ছেন সাবেক সাংসদ রহিম উল্যাহ। এর অংশ হিসেবে শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে সোনাগাজীর সদর ইউনিয়নের মনগাজী বাজারে এক জনসভায় বক্তব্য দেন তিনি। 

শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন প্রচারের লক্ষ্যে আয়োজিত ওই সভায় রহিম বলেন, ‘আমাদের বর্তমান এমপি মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে সচিব বা মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরার মতো লোক না, এলাকার উন্নয়ন করতে তিনি কারও কাছে যান না। তিনি বিশাল ক্ষমতাধর। সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল, অ্যাম্বাসেডর তিনি বাংলাদেশের দুই নেত্রীকে (শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়া) জেল খাটাইছে।’

নিজের আমলের নানা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে স্থানীয় ভোটারদের উদ্দেশে সাবেক এমপি রহিম বলেন, ‘আমি কোনো মহারথী নই। এক সাধারণ কৃষকের ছেলে। এমপি থাকতে আপনাদের পাশে ছিলাম। পাঁচ বছরে শত বাধাবিপত্তি, মামলা-হামলাকে উপেক্ষা করে নিজ সংসদীয় আসনে সময় কাটিয়েছি। অন্য এমপিদের মতো রাজধানীতে পড়েছিলাম না। মানুষকে কাছে আশার সুযোগ দিয়েছি, কাজ করেছি, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেইনি। আমার আমলে এমপি এবং জনগণের মধ্যে কোনো পার্থক্য ছিল না।’

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাওয়ার আভাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণের পাশে ছিলাম এখনও আছি আমৃত্যু থাকব। আগামী দিনেও আপনাদের সহযোগিতা ও সর্মথন পেলে আরও উন্নয়ন করব ইনশাল্লাহ।’ 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদর সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আরেফিনের সভাপতিত্বে ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আফসার, বাসু মেম্বার, দেলোয়ার মেম্বার, এবিএম তালেব আলী, ওবায়েদুল হকসহ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। এ ছাড়া স্থানীয় অর্ধশতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধাও ওই সভায় যোগ দেন। 

গত নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির মাসুদ চৌধুরী ফেনী-৩ আসেনের এমপি নির্বাচিত হন। সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এ কর্মকর্তা ওয়ান-ইলেভেনে তার ভূমিকার কারণে আলোচিত-সমালোচিত। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। এর আগে স্থানীয় রাজনীতিতে তার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। অষ্টম জাতীয় নির্বাচনে রহিম উল্যাহ প্রথম ধাপে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। দশম জাতীয় নির্বাচনেও তিনি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ আসনটি মহাজোটকে ছেড়ে দিলে জাতীয় পার্টির তৎকালীন চেয়ার‌ম্যানের উপদেষ্টা রিন্টু আনোয়ার এ আসনে প্রার্থী হন। রহিম উল্যাহ তখন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে রিন্টুকে পরাজিত করেন।