শহর প্রতিনিধি->>

ফেনীতে চিকিৎসকদের নিয়ে বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে ফেনীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কনফারেন্স হলরুমে বিশেষ বৈজ্ঞানিক মেডিটেশন সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আবুল খায়ের মিয়াজী।

সেমিনারটি পরিচালনা করেন কোয়ান্টাম মিরপুর স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের সমন্বয়ক ডা. দিওয়ান ওয়াসিফ জালাল। তার আলোচনায় তিনি ডাক্তার ও রোগী উভয়ের প্রেক্ষাপটে মেডিটেশনের উপকারিতা বৈজ্ঞানিকভাবে উপস্থাপন করেন।

পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে কীভাবে মেডিটেশনের মাধ্যমে রোগীদের রোগ নিরাময় ত্বরান্বিত করা হয় তার উদাহরণ ও ব্যাখ্যা তিনি উপস্থাপন করেন। সেইসাথে মেডিটেশনের মূল উৎসভূমি যে প্রাচ্য সেখানে কীভাবে মেডিটেশনের মাধ্যমে চিকিৎসক ও রোগীদের উভয়েরই সুস্থতা, প্রশান্তি ও সাফল্য নিশ্চিত সম্ভব তা তিনি উল্লেখ করেন।

আলোচনার ফাঁকে “ডাক্তাররা এখন মেডিটেশনের কথা বলছেন ” শীর্ষক একটি ডকুমেন্টারি দেখানো হয় যা কোয়ান্টাম মেথডের অফিসিয়াল চ্যানেলে পাওয়া যাবে।

প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে ডাক্তাররা মেডিটেশন বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করেন এবং অনুপ্রানিত হন।

সভাপতির বক্তব্যে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আবুল খায়ের মিয়াজী বলেন, যুগে যুগে কালে কালে নবী-রাসূল ও মহামানবরা ধ্যান/মোরাকাবা করেছেন। বর্তমান সময়ে প্রত্যেক মানুষের জীবনের যে অস্থিরতা, অশান্তি থেকে মুক্তি হতে পারে ধ্যানের মাধ্যমে। একজন চিকিৎসক যখন ধ্যানী হবেন তিনি তার পেশার প্রতি আরো মনোযোগী হবেন সেইসাথে ব্যাক্তিগত ও সামাজিক জীবনেও ভালো থাকবেন। একজন চিকিৎসক হিসেবে রোগীর প্রতি মমতা তৈরি ও পেশাগত স্ট্রেসমুক্তির জন্য বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে ডাক্তাররা নিয়মিত মেডিটেশন করছেন।বাংলাদেশেও এচর্চা নিয়মিত হওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি মত ব্যাক্ত করেন। প্রোগ্রাম শেষে আলোচক সভাপতিকে বৈজ্ঞানিক সেমিনারের প্রবন্ধ ও নতুন প্রকাশিত মেডিটেশন ম্যাগাজিন উপহার দেন। এছাড়াও চিকিৎসকদেরও প্রবন্ধের কপি ও মেডিটেশন পত্রিকা উপহার দেওয়া হয়।

বিশেষ বৈজ্ঞানিক মেডিটেশন সেমিনারে প্রতিষ্ঠানের তত্বাবধায়ক, ২৮ জন ডাক্তার, ১৯ জন ওয়ার্ড ইনচার্জ, ৪ জন অফিস স্টাফ, ১৪ জন কোয়ান্টাম সদস্যসহ মোট ৬৫জন অংশগ্রহণ করেন। ঢাকার পর এটিই কোয়ান্টামের ২য় বৈজ্ঞানিক সেমিনার।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ফেনী শাখার প্রো-অর্গানিয়ার রুবায়েত-ই–তামান্না জানান, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন গত ৩০বছর ধরে মানুষের টোটাল ফিটনেস নিয়ে কাজ করছে। যার চারটি উপাদান-শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিক ফিটনেস। প্রতি শুক্রবার সকাল ৯.১৫ মিনিটে ফেনীসহ সারা বাংলাদেশের ২০০ এর ও বেশি ভেন্যুতে উন্মুক্ত প্রোগ্রামের মাধ্যমে মানুষের মাঝে ফিটনেস সচেতনতা ও মেডিটেশন নিয়ে প্রোগ্রাম পরিচালিত হয়। যেকোনো বয়সের, পেশার ও ধর্মের মানুষ কোনোপ্রকার অনুদানছাড়াই এ প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারেন।