ঢাকা অফিস->>

ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাচনে বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। প্রত্যাহারের শেষ দিনে সমঝোতার মাধ্যমে ফোরাম ও জোবায়েদুর রহমান রানার নেতৃত্বে দুই প্যানেল একত্রিত হয়ে ২৪টি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়। যার ফলে নির্বাহী কমিটির ২৪ পদের সকলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়। যেখানে জেলা ও বিভাগ ১৩টি এবং রানা-ডানা প্যানেল ১১টি পদ নিয়েছে। 

ফুটবল, ক্রিকেটের বাইরে দেশের অন্য সকল ফেডারেশনের নির্বাচনে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু থাকে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে। ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনে নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল তিনটি। দুই পক্ষ সমঝোতা হওয়ায় বরগুনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। অন্য দুই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আমির হোসেন বাহার ও জোবায়েদুর রহমান রানা সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে সহ-সভাপতি হয়েছেন। 

চার সহ-সভাপতির মধ্যে দুই পক্ষ সমঝোতা করে দু’টি করে সহ-সভাপতি নিয়েছেন। বাহার ছাড়া ফোরামের আরেকজন সহ-সভাপতি জুয়েল এবং রানার আরেক সহ-সভাপতি ক্রীড়াঙ্গনের কিংবদন্তী কামরুন নাহার ডানা। সহ-সভাপতির মতো যুগ্ম সম্পাদক পদেও ভাগাভাগি হয়েছে। জেলা ফোরাম থেকে চট্টগ্রামের দিদারুল আলম এবং রানার প্যানেল থেকে সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন রাসেল কবির সুমন যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন।

দুই পক্ষের সমঝোতার জন্য বাদ পড়েছেন যুগ্ম সম্পাদক পদপ্রার্থী সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মরিয়ম তারেক। তাকে পরবর্তীতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কোটায় মনোনীত সদস্য করার পরিকল্পনা রয়েছে। রানার প্যানেলের মতো ফোরামের প্যানেল থেকেও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন বাদ পড়েছেন এদের মধ্যে অন্যতম সহ-সভাপতি প্রার্থী কে এম শহিদ উল্ল্যা। ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের মতে, শেষ মুহূর্তের পরিবর্তে মনোনয়ন জমা দেয়ার আগে এই সমঝোতা হলে আরও ভালো বিকল্প বের হতে পারত। সাধারণ সম্পাদকের পদের মতো আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ কোষাধক্ষ্যও ফোরামের অধীনে। ১৬ নির্বাহী সদস্যের মধ্যে দুই পক্ষ ৮টি করে নিয়েছে। 

সমঝোতার প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ক্লাব, জেলা সকল পক্ষকে নিয়ে আমি কাজ করতে চাই। সবার সহযোগিতা চাই।’ সাধারণ সম্পাদক থেকে সহ-সভাপতি হওয়া জোবায়েদুর রহমান রানা তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘অখুশি বলা যাবে না। একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা এই কমিটি করেছি। ভবিষ্যতে আশা করি ভালো কিছুই হবে’।

ব্যাডমিন্টনে একটি প্যানেল করার ব্যাপারে সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করেছেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক এমবি সাইফ ও সিরাজউদ্দিন আলমগীর। গতকাল মনোনয়ন প্রত্যহারের শেষ দিন দুই পক্ষ নিয়ে বসেছিলেন তারা। সেই আলোচনায় উত্তাপ-উত্তেজনা ছড়িয়েছে অনেক। শেষ পর্যন্ত এক প্যানেল হওয়ায় খানিকটা তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এমবি সাইফ। তিনি বলেন, ‘আজম নাসির ভাইয়ের নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় আমরা ব্যাডমিন্টনের স্বার্থে এক প্যানেল করতে চেয়েছি। অনেক আলোচনা ও বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবশেষে সফল হয়েছি। এজন্য সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষই আন্তরিকতা প্রকাশ করেছে’।

সূত্র : দৈনিক মানবজমিন