নিজস্ব প্রতিবেদক->>

ফেনীতে সিজারিয়ান অপারেশনে নারীদের সন্তান জন্মের প্রবণতা বাড়ার বাস্তবতায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান প্রসবে বিশেষ সাফল্য পেয়েছে ফেনী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। এতে করে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত নারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতি থেকে বাঁচার পাশাপাশি শারীরিকভাবে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা কমে আসছে। এ সেবার জন্য শহরের প্রাণকেন্দ্র ডাক্তারপাড়ার এ কেন্দ্রটি চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার মধ্যে সেরা তালিকায় দ্বিতীয় হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের গত চার মাসে তিন সহস্রাধিক গর্ভবতী নারীকে সেবা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৭৭৩, ফেব্রুয়ারিতে ৮৩৩, মার্চে ৮৩৬ ও এপ্রিলে ৭৩৪ জন নারী সেবা গ্রহণ করেছেন। এসময়ে ৪০৫ জন নারী সন্তান প্রসব করেছেন। এর মধ্যে ৩৮৫ জনই স্বাভাবিক প্রসব করেছেন। বাকি ২০ জন অন্ত:সত্ত্বা নারী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেন। এছাড়া ৪০৪ জন গর্ভত্তোর ও ১৮৯ জন নারী সাধারণ চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।

গত এপ্রিল মাসে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এমসিএইচ-সার্ভিসেস পরিচালক ডা. মো. মাহমুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে এসব সেবার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়।

ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়, দেশের ১৪টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে প্রতি মাসে গড়ে ১শ এর বেশি নারী সিজারিয়ান অপারেশন ও নরমাল ডেলিভারীর মাধ্যমে সেবা নেন। এ ধারা অব্যাহত রেখে প্রসব সেবা বৃদ্ধির জন্য সচেষ্ট থাকতে অনুরোধ করা হয়।

সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনে আসেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের মহাপরিচালক মু. শুক্কুর আলী, বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক ড. মো. তৌফিকুজ্জামান, ফেনী জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক আবু সালেহ মো. ফোরকান উদ্দীন, সহকারি পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। তারা কার্যক্রম দেখে ও ভর্তি রোগীদের সাথে কথা বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এসময় এক নবজাতকের জন্য তার মায়ের হাতে উপহারস্বরূপ বেবিস্যুট প্রদান করেন তারা।

ফেনী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের মেডিকেল অফিসার নাসরীন আক্তার মুক্তা জানান, সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান প্রসব করানোকে অত্যাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়।