সোনাগাজী প্রতিনিধি->>

সোনাগাজীতে আলোচিত শিশু আসমা আক্তার তানিশা (৪) হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বৃদ্ধা সফুরা খাতুন (৭০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার সফুরা খাতুন উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের চরডুব্বা গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের স্ত্রী।

পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ পৌর এলাকার চৌধুরী লেনে চরগণেশ গ্রামের প্রবাসী নুর মোহাম্মদ সোহেলের নিলুফা মঞ্জিলে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন সফুরা খাতুন। এক পর্যায়ে টাকা ও স্বর্নালঙ্কারের লোভে পড়েন সফুরা। জামাই-শাশুড়ি যোগসাজসে ওই ঘরের রান্না করা খাবারে চেতনানাশক দিয়ে ২০১১ সালের ২৯ অক্টোবর গভীর রাতে তার মেয়ে জামাই সেলিম খানসহ ওই ঘরে ঢুকেন। ঘরের লোকজন টের পেলে তাহমিনা ও তার শিশু কন্যা আসমা আক্তার তানিশাকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন তারা।

আহত শিশু তানিশা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় গৃহকর্তা প্রবাসী সোহেল বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০১৪ সালে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে চলতি বছরের ১০ এপ্রিল সোমবার দুপুরে ফেনীর অতিরিক্ত দায়রা জজ সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফ জামাই সেলিম খান কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই মামলায় শাশুড়ি সফুরা খাতুনকে যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার সময় সেলিম খান আদালতে উপস্থিত থাকলেও সফুরা খাতুন পলাতক ছিলেন।

নিহত শিশু তানিশা সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন ও তাহমিনা আক্তারের কন্যা।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি খালেদ হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।