সোনাগাজী প্রতিনিধি->>

সোনাগাজীতে ‘বন্যকুকুরের’ কামড়ে পৌনে দুই শতাধিক ভেড়ার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান খামার মালিকরা।

খামারের মালিক কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম শাহীন এবং দক্ষিণ চরচান্দিয়া ইউনিয়নের হেদায়েত উল্যাহ এ তথ্য জানান।

দুটি খামারে বন্যকুকুরের আক্রমণে ১৭৫টি ভেড়ার মৃত্যু হয়েছে। ভেড়াগুলোর বাজারমূল্য আনুমানিক ২০ লাখ টাকা বলে খামার মালিকরা দাবি করেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, গত কয়েক দিনে ওই এলাকায় কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে। এসব বন্যকুকুর রাতে এবং দিনের বেলায় খামারে একাধিক জায়গার বেড়া ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক ভেড়ার মৃত্যু হয়। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী খামারের মালিক নজরুল ইসলাম শাহীন বলেন, খামারে মোট ২৭৫টি ভেড়া ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে খামারের রাখাল সেলিম পাশের বাজারে নাশতা করতে যায়। এ সময় ছয়টি কুকুর ভেড়ার খামারে হানা দেয়। ওই সময় কুকুরের কামড়ে শতাধিক ভেড়া মারা যায়। মারা যাওয়া ভেড়ার মধ্যে প্রায় ১০০ ভেড়া গর্ভবতী ছিল।

অন্যদিকে সোনাগাজীর দক্ষিণ পূর্ব চরছান্দিয়া গ্রামের খামার মালিক হেদায়েত উল্যাহ জানান, একইদিন রাতে খামারে কুকুর হানা দিয়ে একই কায়দায় বড় ছয়টি ভেড়াকে কামড়ে দেয়। পরে এগুলো মারা যায়। এ সময় কুকুরের দল একটি ভেড়ার কলিজা খেয়ে ফেলে। সকালে ভেড়াগুলো মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় এবং সেখানে কুকুরের পায়ের চিহ্ন পাওয়া যায়। তবে এলাকাবাসীর অনেকে ভেড়ার কলিজা খাওয়ার ধরণ দেখে নেকড়ে বাঘ হতে পারে বলে ধারণা করছেন।

এ বিষয়ে সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, ভুক্তভোগী খামারের মালিক এ বিষয়ে আমাদের অবহিত করেনি। তবে বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোনাগাজী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুপন নন্দী বলেন, ঘটনাটি আমাকে লোকজন মোবাইলে জানিয়েছেন। বিষয়টি জেনে পরে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানানো হবে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন বলেন, খামারিদের বিপদে-আপদে পাশে থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা প্রাণিসম্পদ বিভাগের দায়িত্ব। কিন্তুু চরাঞ্চলে শতাধিক ভেড়া মারা যাওয়ার ঘটনার পর পুরো দিন কেটে গেলেও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যাননি। বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।

জানতে চাইলে ফেনী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ঘটনা ঘটার ১২ ঘণ্টা পরও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ঘটনাস্থলে না পৌঁছানো দুঃখজনক। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।