অনলাইন ডেস্ক->>

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস–এর করা এ বছর বিশ্বের ১০০ জন ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় ৪২তম স্থানে রয়েছেন। আগের বছর এই তালিকায় ৪৩তম অবস্থানে ছিলেন তিনি।

রাজনীতি ও নীতি শ্রেণিতে এ তালিকায় ২২ জন স্থান পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১১তম স্থানে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ফোর্বস–এর এবারের তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী হিসেবে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েনকে ১ নম্বরে রাখা হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তৎপরতা এবং কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লগার্দ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।

ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ তালিকায় ৩৬তম অবস্থানে আছেন। তিনিসহ দেশটির ছয়জন নারী এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তালিকায় শততম স্থানে রাখা হয়েছে ইরানের মাসা আমিনিকে। ইরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে তাঁর মৃত্যুর পর দেশটিতে নারীর অধিকারের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। বাকি নারীদের মধ্যে ৩৯ জন সিইও, ১০ জন রাষ্ট্রপ্রধান এবং ১১ জন বিলিওনিয়ার রয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা–বাণিজ্যবিষয়ক সাময়িকী ফোর্বস ২০০৪ সাল থেকে বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকা করে আসছে। তালিকা করার ক্ষেত্রে অর্থ, মিডিয়া, প্রভাব এবং প্রভাবের ক্ষেত্র—এই চার বিষয় বিবেচনায় নেয় তারা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফোর্বস লিখেছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময়ের প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে তিনি চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৮টি পাওয়ায় শেখ হাসিনা চতুর্থ মেয়াদে, যার মধ্যে টানা তৃতীয় মেয়াদে জয়ী হন।

ফোর্বস বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের নাগরিকদের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার মতো বিষয়গুলোতে জোর দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। শেখ হাসিনার চলমান সংগ্রাম বাংলাদেশে একটি দৃঢ় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে। শেখ হাসিনা ও তাঁর দল আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে নির্বাচনে ভোটারদের ভোট দেওয়ার অধিকার বঞ্চিত করার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।