শহর প্রতিনিধি->>

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি করার বিষয়টি লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন ফেনী সদর আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

নিজাম হাজারী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি করে, বিষয়টি লজ্জাজনক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ৩০০ টাকা থেকে উন্নীত করে ২০ হাজার টাকা করেছেন। এ ছাড়াও সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছে বর্তমান সরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছেন। আজ তাদের ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করার মধ্য দিয়ে তাদের সম্মানিত করা হচ্ছে। আমাদের তরুণ ও যুবকদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে গড়ে তুলতে হবে, তবেই দেশ আরও সুন্দরভাবে এগিয়ে যাবে। আর এ শিক্ষা আমাদের প্রত্যেকটি পরিবার থেকে শুরু করতে হবে।’

আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসে গৌরবের, আর মুক্তিযোদ্ধারা ফেনীর গর্ব। ফেনীতে দেশের সবচেয়ে বেশি খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। যা দেশের আর কোনো জেলায় নেই। জেলার মাত্র ছয়টি উপজেলায় ২৩ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আছেন।’

অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার ৭২৩ জনকে ডিজিটাল সনদপত্র ও স্মার্ট আইডি কার্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে জীবিত ৩৬৫ জনকে ডিজিটাল সনদপত্র ও স্মার্ট কার্ড এবং মৃত ৩৫৮ জনের পরিবারের সদস্যদের হাতে সনদ তুলে দেন অতিথিরা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার জাকির হাসান, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফেজ আহাম্মদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবদুল মোতালেব।

উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ কে শহীদ উল্লাহ খন্দকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জোসনা আরা জুসি, ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান করিম উল্যাহ, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা হোসেনসহ সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ।