ফুলগাজী প্রতিনিধি->>

জান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় মুহুরী নদীর উত্তর দৌলতপুর ও দক্ষিণ দৌলতপুর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়া গ্রামগুলো থেকে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) পানি নেমে গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন ফুটে উঠেছে। এসব এলাকার প্রায় ৫০ হেক্টর আবাদি জমির মধ্যে পানি প্রবেশ করায় কয়েকদিনের মধ্যে পানি না নামলে ধান নষ্ট হয়ে যাবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন, পানি নেমে গেলে দ্রুত মেরামত করা হবে। তবে ৭৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ স্থায়ীভাবে নির্মাণের যাচাইয়ের কাজ চলছে। অনুমোদন হলে এসব এলাকার লোকজনের দীর্ঘ দিনের সমস্যার সমাধান হবে।

স্থানীয়রা জানান, দু’মাস পূর্বেও বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি করেছে। অনেক কষ্ট করে দ্বিতীয়বার ধান চাষাবাদ করেছি। এবার তাও নিয়ে গেল, কি করব বুঝছি না। প্রতিবছর বাঁধ ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি হয় এলাকার। কিন্ত সরকার স্থায়ী কোনো বাঁধ নির্মাণ করছে না। তারা স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

ফুলগাজী উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাসুদ রানা বলেন, মুহুরী নদীর ফুলগাজী অংশে বাঁধ ভেঙে এলাকার প্রায় ৫০ হেক্টর আবাদি জমির মধ্যে পানি প্রবেশ করেছে। কয়েক দিনের মধ্যে পানি না নামলে ধান নষ্ট হবে।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহির উদ্দীন বলেন, মুহুরী নদীর বাঁধ ভাঙা স্থানে পানি নেমে গেলে জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা হবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণের যে সমস্যা তা স্থায়ী সমাধানের জন্য ৭৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ করার জন্য যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প অনুমোদেন দেয়া হলে এসব এলাকার জনগণের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হবে।

মুহুরী নদীর বাঁধ স্থায়ীভাবে মেরামত করে সরকার প্রকল্প গ্রহণ করে জনগণের ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সরকার দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন, এমনটি আশা সবার।