সোনাগাজী প্রতিনিধি->>

সোনাগাজী উপজেলার বড় ফেনী নদীতে জেলেদের জালে আবারও ধরা পড়ল আড়াই ও দুই কেজির বেশি ওজনের ৩০টি ইলিশ। ওজন করে দেখা গেছে, ৩০টি ইলিশের মধ্যে ৮টি আড়াই কেজি করে, অপর ২২টির ওজন প্রায় দুই কেজি করে। এর আগে গত মঙ্গলবার জেলেদের জালে তিন ও আড়াই কেজি ওজনের ২৫টি ইলিশ ধরা পড়েছিল।

শুক্রবার বিকেলের দিকে মাছগুলো জালে আটকা পড়ে। পরে মাছগুলো নদীর তীরে আড়তে নিয়ে নিলাম করলে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী নেয়ামত উল্যাহ, আবদুল মান্নানসহ চার ব্যবসায়ী যৌথভাবে মাছগুলো কিনে নেন। ৩০টি বড় ইলিশ সোয়া ১ লাখ টাকায় বিক্রি হয়।

জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোনাগাজী উপজেলার আদর্শগ্রাম এলাকার জেলে আবুল হাশেম, মো. আয়ুইব আলী, মো. হানিফসহ ২০ থেকে ২২ জেলে তিনটি ট্রলারে করে শুক্রবার সকালে বড় ফেনী নদীর শেষ প্রান্তে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জাল ফেলেন। পরে জাল তুলে বড় ৩০টি ইলিশ পান।

আবুল হাশেম বলেন, শুক্রবার বিকেলে মাছ ধরা শেষে মাছগুলো স্থানীয় আড়তে বিক্রির জন্য নিয়ে যান তাঁরা। বড় ৩০টি ইলিশসহ তাঁদের জালে ধরা পড়া সব মাছ মোট ২ লাখ ৬০ হাজার ৩০০ টাকায় কিনে নেন ব্যবসায়ীরা।

মৎস্য ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান বলেন, মাছগুলো বিক্রি করার জন্য শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে পৌর শহরের মাছবাজারে নিয়ে আসেন। বাজারে উৎসুক অনেকে বড় ইলিশগুলো দেখতে ভিড় করেন। আবার অনেকে শখ করে বেশি দাম হলেও একটা-দুটা করে মাছ কিনে নেন।

মৎস্য ব্যবসায়ী নেয়ামত উল্যাহ বলেন, আড়াই ও দুই কেজির ইলিশ ১ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দর হাঁকান। পরে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা করে বড় মাছগুলো বিক্রি হয়ে যায়। এ ছাড়া অন্য ইলিশগুলো ৬০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে সব কটি মাছ বিক্রি হয়ে যায়।

কামাল উদ্দিন নামের এক ক্রেতা বলেন, তিনি ঢাকায় থাকেন। ছুটির দিনে বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে এসেছেন। যাওয়ার পথে বাজারে বড় তাজা ইলিশ দেখে তিনি শখ করে দুই কেজি ওজনের পাঁচটি ইলিশ ১৭ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে কিনে নেন।

উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা তূর্য সাহা বলেন, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমসহ সরকারি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় স্থানীয় জেলেরা উপকৃত হচ্ছেন। এ কারণে নদী ও সাগরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের বংশবিস্তার বেড়েছে এবং টানা ও বসানো জালে বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর পরিমাণ মাছ ধরা পড়ছে। এই মৌসুমে নদীতে একাধিকবার তিন কেজি, আড়াই ও দুই কেজি ওজনের বড় ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। তবে পূর্ণিমা শুরু হওয়ায় আরও বড় বড় মাছ ধরা পড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।