সোনাগাজী প্রতিনিধি->>

সোনাগাজী চান্দলা মনিরুল উলুম মাদ্রাসায় শিশু ছাত্র (১০) বলৎকার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নুর নবী (৪৫) কে পালিয়ে যেতে সহায়তা করায় মোহতামিম গোলামুর রহমান (৪৩) কে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। বুধবার তাকে উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের চান্দলা মনিরুল উলুম ইসলামীয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার বিকালে শিশুটির মা নুর খাতুন বাদী হয়ে নারী শিশু আইনের ৯(১)৩০ ধারায় সোনাগাজী মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করলে (যার এফআইআর নং-০৭/২০২২) মোহতামিম কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চান্দলা মনিরুল উলুম ইসলামীয়া মাদ্রাসার আবাসি এর এক ছাত্রকে শিক্ষক নুর নবী বলৎকার (ধর্ষণ) করতো। এক পর্যায়ে শিশুটির পায়ুপথ ও মুখে ইসফেকশন হয়ে গেলে শিশুটি বাড়ী গিয়ে তার মা কে সব খুলে বলে। পরে ওই ছাত্রের মা মাদ্রাসায় এসে মোহতামিম কে জানালে তিনি কোন ব্যাবস্থা না নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক কে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।

মামলার বাদি জানায়, শিশুটি কে বলৎকারের পাশাপাশি ওরাল সেক্সেও বাধ্য করতো লম্পট শিক্ষক নুর নবী। এতে শিশুটির মুখের ভেতরে ঘাঁ দেখা গেছে।

ওই ঘটনার পর নুর নবীর সাথে যোগাযোগ করে বক্তব্য জানতে চাইলে নুর নবী পরে কথা বলবেন বলে ফোন রেখে দেন। নুর নবীর বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার সোনাইপোলে।

সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ খালেদ হোসেন জানান, নির্যাতিতা শিশুটির মায়ের দায়ের করা মামলায় মোহতামিম কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। একই সাথে মূল আসামীকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।