ঢাকা অফিস->>

দীর্ঘদিন ধরেই ইনজুরির কারণে জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। তবে জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দলে ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু দেশ ছাড়ার আগে চূড়ান্ত ফিটনেস পরীক্ষায় উতরে যেতে পারেননি। তাই আবারো ছিটকে যান মাঠের বাইরে। এরই মধ্যে ভারত থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেছেন তিনি। জানিয়েছেন মাঠে ফেরার আশায় রয়েছেন তিনি। চোখ রাখছেন আসন্ন এশিয়া কাপে।

তার কথোপকথনের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো-

প্রশ্ন: কেমন আছেন এখন?
সাইফুদ্দিন: আলহামদুলিল্লাহ ভালো। কিছু দিন আগে দিল্লি থেকে চিকিৎসা নিয়ে এসেছি। এরপর প্রথম ১ সপ্তাহ বেড রেস্ট ছিল।
১ সপ্তাহ পর ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করেছি। ২ দিন হলো স্কিলের কাজ শুরু করেছি। আজ ফিজিও বায়েজিদ ভাই আমার বোলিং দেখেছেন। সব মিলিয়ে পজেটিভ।

প্রশ্ন: ফিজিও কি বললেন?
দেবাশীষ দাদার সঙ্গে এখনও দেখা হয়নি। বায়েজিদ ভাই পর্যবেক্ষণ করেছেন। কালকেই বোলিং দেখবেন। যদি সব ঠিকঠাক থাকে তাহলে ইনশাআল্লাহ খুলনায় প্র্যাকটিস ম্যাচ (এইচপি ও বাংলাদেশ টাইগার্সের মধ্যে) খেলতে যাবো।

প্রশ্ন: এশিয়া কাপে খেলার সিদ্ধান্ত কি?
সাইফুদ্দিন: আসলে আমি জানি না কিছু। আমাকে মেডিকেল টিম দেখে বলেছে প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলতে। খেলি, দেখি এশিয়া কাপে থাকবো কি থাকবো না এটা নির্বাচক ও সংশ্লিষ্টরা দেখবেন। মাঠে খেলতে পারবো এতেই খুশি।

প্রশ্ন: আপনি কি মনে করছেন খেলতে পারবেন?
সাইফুদ্দিন: প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই লক্ষ্য থাকে এশিয়া কাপ খেলা। আমি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়েও এশিয়া কাপ খেলিনি। দুটি আইসিসি ইভেন্ট খেললেও এশিয়া কাপে খেলা হয়নি। এটা নিয়ে বাড়তি একটা রোমাঞ্চ কাজ করে। যদি সুযোগ পাই অবশ্যই আনন্দিত হবো।

প্রশ্ন: এখন কোনো সমস্যা বোধ করছেন?
সাইফুদ্দিন: ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে (না খেলার) কলটা ছিল ব্যক্তিগত। মেডিকেল টিম আমার ওপর ছেড়ে দিয়েছিল। আমি শতভাগ দিতে পারছিলাম না বলে মেডিকেল টিমকে জানাই। এরপর ওরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন ভালো বোধ করছি। গত এক মাস অনেক কাজ করেছি। এজন্য খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। প্রথম থেকেই আজ ফুল রানআপে বল করেছি। ইনটেনসিটি হয়তো শতভাগ ছিল না। আস্তে আস্তে বাড়াবো। যেহেতু আমার শরীর, আমি তো বুঝতে পারছি অবস্থা। আগের চেয়ে ভালো বোধ করছি বলেই আত্মবিশ্বাসী আমি।

প্রশ্ন: ভারতের চিকিৎসক কী বলেছেন?
সাইফুদ্দিন: ডাক্তারের হোয়াটসঅ্যাপের নম্বর আছে। আপনারা একটা কল করে জেনে নিয়েন। মেডিকেলের অনেক বিষয় আমাকে বললে মনে থাকে না। এজন্য বলাটা আমার জন্য মুশকিল।

সূত্র: দৈনিক মানবজমিন