ঢাকা অফিস->>

মালয়েশিয়ার প্রথম ফ্লাইটে গমন ৫৩ কর্মীকে বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানালেন স্নিগ্ধা ওভারসিজের চেয়ারম্যান ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী।

প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পর সরকারি ব্যবস্থাপনায় আবারও মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রথম দফায় ৫৩ জন কর্মী গেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে।

সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ওই কর্মীদের নিয়ে একটি ফ্লাইট ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহীদুল আলম।

এসময় স্নিগ্ধা ওভারসিজের চেয়ারম্যান ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ, ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য লেঃ জেনারেল (অবঃ) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, বায়রার সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন স্বপন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জানিয়েছে, ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল নামক রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ার জিমাত জায়া এসডিএন কোম্পানিতে কাজে গেলেন এই কর্মীরা।

ওই কোম্পানিতে নিয়োগ পাওয়া ১১০ জনের মধ্যে প্রথম দফায় ৫৩ জনের মালয়েশিয়ায় রওনা হওয়ার কথা জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এয়ার এশিয়ার ফ্লাইটে তাদের মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা এর আগেই জানিয়েছিলেন বিএমইটির মহাপরিচালক শহীদুল আলম।

বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য মিজানুর রহমান ও বায়রা’র সাবেক সভাপতি বেনজির আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে বিমানবন্দরে সোমবার রাতে মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের বিদায় জানান বিএমইটির মহাপরিচালক।

মালয়েশিয়া সরকার তাদের পাঁচটি খাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে রাজি হওয়ার পর ২০১৬ সালে ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।

পাঁচ বছর মেয়াদী এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় লোক পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয় ১০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক এজেন্সিকে।

কিন্তু অভিযোগ ওঠে প্রবাসী এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগসাজশে এজেন্সিগুলোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট’ করে দুই বছরে শ্রমিকদের ২০০ কোটি রিঙ্গিত হাতিয়ে নিয়েছে।

এরপর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে বাংলাদেশি কর্মীদের আর ভিসা দেয়নি মালয়েশিয়া। তবে আগে যারা ভিসা পেয়েছিলেন, তারা পরেও মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ পান।

সরকারের তরফে নানা দেন-দরবার আর করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে শ্রমিক সঙ্কটের প্রেক্ষাপটে গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয় মালয়েশিয়া।

এরপর গত বছরের ডিসেম্বরে মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

গত জুনের শুরুতে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান ঢাকা সফরের সময় প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছিলেন, জুনের মধ্যেই কর্মী যাবে মালয়েশিয়ায়। কিন্তু তার কথা শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি।

মালয়েশিয়ায় মোট কত কর্মী যেতে পারে- এ প্রশ্নের উত্তরে ওই সময় ইমরান আহমদ বলেছিলেন, সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী পাঁচ বছরে ৫ লাখ কর্মী নেওয়ার কথা। এর মধ্যে এ বছরই ২ লাখ নেওয়ার কথা।

সেসময় তিনি মন্তব্য করেন, “আমাদের তো মনে হচ্ছে, এই বছরের মধ্যেই পাঁচ লাখ যাবে।