ঢাকা অফিস->>

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পবর্তশৃঙ্গ পাকিস্তানের কে-টু চূড়া জয় করেছেন এভারেস্ট জয়ী পবর্তারোহী ওয়াসফিয়া নাজরিন। রোববার (১৭ জুলাই) কে-টু চূড়ায় ওঠার জন্য রওনা দেন ৩৯ বছর বয়সী ওয়াসফিয়া। পর্বতের চূড়ায় শুক্রবার (২২ জুলাই) সকালে পৌঁছান তিনি। এই চূড়ার উচ্চতা ২৮ হাজার ২৫১ ফুট (৮ হাজার ৬১১ মিটার)।

একই দিনে কে-টু জয় করেছেন ইরানি আফসানেহ হেসামিফার্ড, লেবানিজ-সৌদি নাগরিক নেলি আত্তার ও পাকিস্তানের নাগরিক সামিনা বেগ। প্রত্যেকেই নিজ নিজ দেশের প্রথম নারী পর্বতারোহী হিসেবে কে-টু জয় করেছেন। বিশ্বে ৮ হাজার মিটারের চেয়ে উঁচু পর্বতগুলোর মধ্যে ১৪টি রয়েছে পাকিস্তানে। এগুলোর চূড়ায় পৌঁছা যেকোনও পবর্তারোহীর জন্য কৃতিত্বের।

বাংলাদেশের একমাত্র এবং প্রথম বাঙালি হিসেবে সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ (সেভেন সামিট) জয় করার জন্য পরিচিত ওয়াসফিয়া। তার এই অভিযানের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে রেনাটা লিমিটেড। তার সঙ্গে ছিলেন বিশ্বের কয়েকজন শক্তিশালী ও বিখ্যাত পবর্তারোহী। এদের মধ্যে রয়েছেন মিঙ্গমাতেঞ্জি শেরপা, মিঙ্গমা ডেভিড শেরপা ও নির্মল পুরজা।

এভারেস্টের চেয়ে কে-টুর চূড়ায় আরোহন করা শুধু যে কঠিন তা নয়। পর্বতারোহনের জন্য কঠিন অস্থির আবহাওয়া মোকাবেলা করতে হয়। ১৯৫৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৪২৫ জন ব্যক্তি এই পর্বত জয় করেছেন। এদের মধ্যে নারীর সংখ্যা ২০ জন। সূত্র: এএফপি

প্রসঙ্গত, ওয়াসফিয়া ১৯৮২ সালের ২৭ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার দাদার বাড়ি ফেনী জেলায়। এরপর তার পরিবার খুলনায় স্থানান্তরিত হয়। পাঁচ বছর বয়সে তিনি পরিবারের সাথে চলে যান চট্টগ্রামে।

ওয়াসফিয়া ঢাকার স্কলাসটিকা স্কুল থেকে ও এবং এ লেভেল সম্পন্ন করার পর যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় এগনেস স্কট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। তার বিষয় ছিল সামাজিক মনোবিজ্ঞান ও স্টুডিও আর্ট। এরপর স্কটল্যান্ডে কিছুদিন পড়াশোনা করেন। ছাত্রজীবনে তিনি যুদ্ধবিরোধী এবং মানবতার পক্ষে বিভিন্ন বৈশ্বিক ইস্যুতে সক্রিয় আন্দোলনকর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি উন্নয়নকর্মী হিসেবেও কাজ করেছেন।