সোনাগাজী প্রতিনিধি->>

সোনাগাজীতে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মনির আহম্মদকে (৩০) তুলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে গত সোমবার রাতে মনির আহম্মদের বড় ভাই বাদী হয়ে ওমর ফারুকসহ (৩৫) সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন।

মনির আহম্মদ সোনাগাজী উপজেলার চর মজলিশপুর ইউনিয়ন যুবলীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক। অন্যদিকে ওমর ফারুক চর মজলিশপুর ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার মাওলানা ঘাট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মামলার অন্য আসামিরা হলেন ওমর ফারুকের সহযোগী মো. ইমরান, মো. করিম, আনোয়ার হোসেন, মো. রুবেল, জাফর আহাম্মদ ও হাছানুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত সোমবার দুপুরে উপজেলার উত্তর চর মজলিশপুর এলাকা থেকে ওমর ফারুকের নেতৃত্বে সাত-আটজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী মনিরকে তুলে নিয়ে কুঠিরহাট বাজারের ভাই ভাই সুপার মার্কেটে নিয়ে যায়। এ সময় ওমর ফারুক মনিরকে শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় অন্যরা রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে মনিরকে মারধর করেন। মারধরের একপর্যায়ে মনির অচেতন হয়ে মাটিতে লুটে পড়েন। খবর পেয়ে মনিরের ছোট ভাই শাহীন ঘটনাস্থলে এলে তাঁকেও সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে আহত করে। পরে ফারুক ও তাঁর সহযোগীরা সেখান থেকে পালিয়ে যান। এরপর স্থানীয় লোকজন তাঁদের দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

মনির আহম্মদের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ইউপি নির্বাচনে চর মজলিশপুর ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ওমর ফারুক ও সাবেক ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদসহ ছয় প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনের সময় মনির আহম্মদ হারুনের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়ার পর থেকে উভয়ের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। নির্বাচনে ওমর ফারুক বিজয়ী হওয়ার পর মনিরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেন। এ ঘটনায় মনির নিজের ও পরিবারে সদস্যদের নিরাপত্তা চেয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। এর পর থেকে মনিরকে জিডি প্রত্যাহার করার জন্য ফারুক চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

আহত মনিরের ভাই মো. ফরহাদ বলেন, বর্তমানে মনির ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকেরা বলেছেন, নির্যাতনে মনিরের কানের পর্দা ফেটে গেছে।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ হোসেন বলেন, যুবলীগ নেতাকে নির্যাতনের মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্য ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।