ফুলগাজী প্রতিনিধি->>

ফুলগাজীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় উপজেলার সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্কুলগুলো হলো- উত্তর দৌলতপুর একরাম নগর মমতাজ বেগম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়পুর নুরুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম ঘনিয়া মোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিসমত ঘনিয়া মোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বৈরাগপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

উত্তর দৌলতপুর একরাম নগর মমতাজ বেগম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যায়লেয় প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম জানান, স্কুলের পাশে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের কারণে স্কুলের চারিদিকে পানি থেই থেই করছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশে গত ৩ দিন শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। পানি নেমে গেলে শ্রেণি কার্যক্রম পুনরায় চালু হবে।

একই স্কুলের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সালমান আহম্মদ বলেন, স্কুলের আঙ্গিনায় হাটু পরিমান পানি জমে আছে। আমরা স্কুলে যেতে পারছিনা।

এর আগে ভারী বর্ষণে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত সোমবার (২০ জুন) ফেনীর মুহুরী-কহুয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১.২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুরে তা বিপৎসীমার ১.২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে।

তীব্র পানির স্রোতে ফুলগাজী উপজেলায় মুহুরী নদীর বেঁড়িবাধের চারটি স্থান ভেঙে ১৫টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানির তোড়ে ভাঙনকবলিত গ্রামসমূহের অনেক বসতঘর, পুকুরের মাছ ও বীজতলা ক্ষতিগস্ত হয়েছে।

আকষ্মিক বন্যায় ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুরের একটি স্থানে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে উত্তর দৌলতপুর, মধ্যম দৌলতপুর ও দক্ষিণ দৌলতপুর, কিসমত ঘনিয়ামোড়া, বরইয়া এবং দেড়পাড়ায় আরও একটি স্থান ভেঙে দেড়পাড়া, নিলক্ষ্মী, উত্তর শ্রীপুর, দক্ষিণ শ্রীপুর, ঘোষাইপুর গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

পানি উন্নায়ন বোর্ড, ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন বলেন, পানি কিছুটা কমলে বাঁধের মেরামত কাজ শুরু করা হবে।