অনলাইন ডেস্ক->>

বসন্তের আমেজ চলছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। শীতপ্রধান দেশ হওয়ায় ভ্রমণের সর্বোত্তম সময় এখন। করোনার বিধিনিষেধ কাটিয়ে পর্যটকে মুখরিত দেশটির দর্শনীয় স্থানগুলো।

মনোরম পরিবেশে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য আদর্শ গন্তব্য সিউল গ্র্যান্ড পার্ক। সময় পেলে সেখানে দলবেঁধে ঘুরতে যায় কোরিয়াস্থ বাংলাদেশি সামাজিক ও আঞ্চলিক কমিউনিটিগুলো।

সিউল গ্র্যান্ড পার্ক। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান থিম পার্কগুলোর একটি। যা কোরিয়ার সিউলের দক্ষিণে গোয়াচন শহরে অবস্থিত। প্রকৃতির অকৃত্রিম সৌন্দর্যেঘেরা উদ্যানটিতে বিনোদনের সব আয়োজনই রয়েছে। পার্কের ঠিক মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে একটি লেক।

পার্কটিতে আরও আছে, চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, তরুণদের জন্য এডুকেশনাল সেন্টার, গোলাপ বাগান, সিউল ল্যান্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্ক এবং সিউল মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্টসহ আরও অনেককিছু।

প্রতি বছর দেশি-বিদেশি প্রায় ৫০ লাখ দর্শনার্থী পার্কটিতে ঘুরতে আসেন। কোরিয়ায় বাংলাদেশি সামাজিক ও আঞ্চলিক কমিউনিটিগুলো তাদের মিলন মেলার স্থান হিসেবে বেছে নেন সিউল গ্র্যান্ড পার্কটিকে।

সিউল গ্র্যান্ড পার্কে বছরজুড়ে উৎসবের রঙ লেগেই থাকে। করোনার বিভিন্ন শর্তের বেড়াজাল থেকে মুক্ত হয়ে খোলা আকাশের নিচে একটু প্রশান্তির খোঁজে মিলিত হন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

বিনোদন পার্কটিতে প্রায় ৪০টিরও বেশি রাইড রয়েছে। প্রায় ৭০ লাখ বর্গ কি এলাকা নিয়ে গঠিত পার্কটি চালু হয় ১৯৮৪ সালে। চিড়িয়াখানাটিতে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ৩৬০ প্রকারের প্রায় ৩২০০ জীবজন্তু আছে।

কোরীয়রা তাদের পরিবার নিয়ে মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে আসেন। বোটানিক্যাল গার্ডেনটিতে রয়েছে ১৩০০ প্রজাতির উদ্ভিদ।

ইতিহাস বলছে, ১৯০৯ সালে জাপানের ঔপনিবেশিক শাসক চাংগিয়ংউয়নি নামে এই পার্কটি নির্মিত হয়েছিল। নতুন অনেক কিছুর সমন্বয়ে ১৯৮৪ সালে সিউল গ্র্যান্ড পার্ক নামে যাত্রা শুরু হয়। গত ২০০৯ সালে শততম বার্ষিকী পালন করেছেন স্থানীয়রা।

সূত্র : সময় টিভি