সদর প্রতিনিধি->>

সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ফায়ার ফাইটার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সবুজের মরদেহ সোমবার রাতে ফেনী সদরের ধলিয়া ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে জানাজায় ইমামতি করেন তার বাবা আবু ইউসুফ। জানাজায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা,স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ সর্বস্তরের জনগণ অংশ নেন।

এর আগে তার মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রামের বাড়িতে আনলে হৃদয় বিদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ফায়ার ফাইটার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সবুজের মরদেহকে জাতীয় পতাকা দিয়ে আচ্ছাদিত করে সালাম প্রদর্শন করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। মরদেহে দেয়া হয় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক।

নিহত ফায়ার সার্ভিস কর্মী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের হাজী সুলতান আহমেদ ভূইয়া বাড়ির মাস্টার আবু ইউসুফের ছেলে। তিনি সীতাকুন্ড ফায়ার সার্ভিস ইউনিটে কর্মরত ছিলেন। তার চার বছরের একটি কন্যা ও ২ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

সীতাকুন্ডে কন্টেইনার ডিপোতে আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস কর্মী ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের হাজী সুলতান আহমেদ ভূইয়া বাড়ির সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (৩৭) নিহত হয়েছে। তিনি সীতাকুন্ড ফায়ার সার্ভিস ইউনিটে কর্মরত ছিলেন।

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জেঠাতো ভাই আবুল কালাম আজাদ জানান, দুর্ঘটনার সময় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ করছিলেন।

বিস্ফোরণের সময় তিনি নিহত হয়। শনিবার রাতে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোন না ধরায় রোববার সকালে স্বজনরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গেলে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত হয়।

এর আগে সোমবার সকালে মুঠোফোনে আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মরদেহ সোমবার সকাল পর্যন্ত স্বজনদের বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। কবে নাগাদ মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হবে তাও তারা নিশ্চত না। তবে মরদেহকে রাষ্ট্রীয় মর্যদায় গার্ড অব অনার দেয়া হবে বলে তিনি জানতে পেয়েছেন।

নিহত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাবা মাস্টার আবু ইউসুফ বলেন, প্রায় ১১ বছর আগে ছেলে ফায়ার সার্ভিসে যোগ দিয়েছিলো। ছেলের আয়ের উপর তাদের সংসার চলছিলো। এভাবে ছেলে তাদের ছেড়ে চলে যাবে তিনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি।

এদিকে ছেলে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়েছে পড়েছেন মা রোশনা আরা বেগম। বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী। বাবার প্রতিক্ষায় নিষ্পলক চোখে চেয়ে আছে অবুঝ দুই সন্তান। পুরো বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের মাঝে যেন কান্নার রোল পড়েছে। স্বজনদের সান্তনা দিতে ছুটে এসেছে আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা।