আদালত প্রতিবেদক->>

দাগনভূঞা থেকে নুর নবী আরমান (৮) নামে এক শিশুকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে নুরুল আলম ভুট্টু (৪১) নামে একজনকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আাদলত। রোববার দুপুরে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) মো. ওসমান হায়দার এ রায় প্রদান করেন। রায়ে কারাদন্ডের পাশাপাশি তাঁকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও প্রদান করা হয়েছে।

দন্ডপ্রাপ্ত নুরুল আলম ভুট্টু ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের লকিয়ত উল্যার ছেলে।রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীকে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের ১০ মার্চ ছাগলনাইয়া উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের লকিয়ত উল্যার ছেলে নুরুল আলমের সাথে দাগনভূঞার গণিপুর গ্রামের বাসিন্দা মালেকা খাতুনের মেয়ে কোহিনুর বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর কোহিনুর বেগমকে নুরুল আলম ভুট্টোর মা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এক পর্যায়ে তারা কোহিনুরের মায়ের কাছে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন। কোহিনুরের মা যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে কোহিনুরের স্কুল পড়ুয়া ছোট ভাই নুর নবী আরমানকে (৮) ফুসলিয়ে ও অপহরণ করে অন্যত্র নিয়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৮ মার্চ দাগনভূঞা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৭, ৮ ও ৩০ ধারায় একটি মামলা (মামলা নং-১০) দায়ের করেন কোহিনুরের মা মালেকা খাতুন। দাগনভূঞা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নুরুল আলম ভুট্টো ও তার ভাগিনা নাজিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় অপহৃত নুর নবী আরমানকে উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দাগনভূঞা থানার ততকালীন উপ-পরিদর্শক (এস আই) আনোয়ার হোসেন খান ওই বছরের ১৫ এপ্রিল নুরুল আলম ভুট্টো ও নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ওই বছর ২৮ এপ্রিল মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয় এবং ১০ আগস্ট মামলার চার্জ গঠন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষে ৯ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী ফেনীর জ্যৈষ্ঠ সহকারী সরকারি কৌসুলি (এপিপি) ফরিদ আহমদ হাজারী বলেন, মামলার দীর্ঘ বিচারকাজ শেষে রায় ঘোষণা করে আদালত। মামলার অপর আসামী নাজিম উদ্দিনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।