সোনাগাজী প্রতিনিধি->>

সোনাগাজী উপজেলায় সবজির আড়ালে গাঁজা চাষ করার অভিযোগে মো. আবুল কালাম (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর গণেশ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর সবজিখেত থেকে তিন ফুট লম্বা তিনটি গাঁজাগাছ উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার আবুল কালাম উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ হোসেন বলেন, আবুল কালাম একজন পেশাদার মাদক বিক্রেতা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বাড়ির পাশের বর্গা জমির সবজিখেতে বেশ কয়েকটি গাঁজাগাছের চাষ করছিলেন। স্থানীয় লোকজন জিজ্ঞাসা করলে গাঁজাগাছগুলোকে বিদেশি একধরনের ফুলের গাছ বলে চালিয়ে দিতেন। গাছগুলো বড় হতে দেখে স্থানীয় কয়েকজনের সন্দেহ হয়।পরে তাঁরা সবজিখেতে লাগানো গাছগুলো গাঁজাগাছ নিশ্চিত হলে পুলিশে খবর দেন।

ওসি মো. খালেদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে শনিবার রাতে সোনাগাজী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুল করিমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর সময় আবুল কালামকে আটক করা হয়।

পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সবজিখেত থেকে তিনটি গাঁজাগাছ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আবুল কালাম অধিক লাভের আশায় সবজির সঙ্গে গাঁজাগাছ রোপণের কথা স্বীকার করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আবুল কালামকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করে। এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির অভিযোগে থানায় একাধিক মামলা হয়েছে। আজ রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে ফেনী কারাগারে পাঠানো হবে।

গ্রেপ্তার আবুল কালামের স্ত্রী নাসিমা আক্তার বলেন, তাঁর স্বামী শারীরিকভাবে অসুস্থ। গত বছর গাছ কাটতে গিয়ে ওপর থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন। কাজকর্ম করতে না পারায়, বাড়ির পাশের খালপাড়ে সবজি চাষ করতেন তিনি। সবজিখেতে গাঁজাগাছ রোপণের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, তাঁদের ফাঁসাতে অন্য কেউ জমিতে গাছগুলো রোপণ করে দিয়েছে।