বিশেষ প্রতিবেদক->>

ফেনীর পশ্চিম চাড়িপুর কাজি হরমুজা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াশ ভবন নির্মানকাজ শেষের আগেই ভেঙ্গে পড়েছে ফলস্ ছাদ। পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ড চাড়িপুর এলাকার মঙ্গলবার বিকেলে এমন ঘটনা ঘটেছে। নিম্নমানের কাজ হওয়ায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে।

বিদ্যালয়, ঠিকাদার ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ৬০ লাখ টাকার বেশি অর্থায়নে ফেনী সদর উপজেলায় চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াশ ভবন নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ১৫ লাখ টাকার বেশি অর্থায়নে ফেনী পৌরসভার চাড়িপুর এলাকার পশ্চিম চাড়িপুর কাজি হরমুজা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াশভবন নির্মান কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স স্বাদ এন্টারপ্রাইজ। প্রায় তিন মাস পূর্বে শুরু হওয়া কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া সুলতানা বলেন, কাজের মান শুরু থেকে খুবই খারাপ ছিলো। ভবনে তিন নম্বর ইট ও নিম্নমানের রড ব্যবহার করা হচ্ছে। বারবার বলার পরও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিষয়টি আমলে নেয়নি। ফলস্ ছাদে রডের পরিমান কম ছিলো। সিমেন্ট কম দিয়ে বালি বেশি ব্যবহার করায় নির্মানের দু’দিন পরই ভেঙ্গে পড়েছে।

বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অন্তর হোসেন ও শাহানা আক্তার বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ক্লাস চলা অবস্থায় হঠাৎ বিকট শব্দে নতুন ওয়াশভেবনের নীচ তলার একটি ফলস্ ছাদ ভেঙ্গে পড়ে। এতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। শুধু ভবন নয়, ভবনের পাশে নির্মিত সেফটিট্যাংক এর কাজও নিম্মমানের হয়েছে। যে কোন সময় এটি ভেঙ্গে বড় দূর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা রয়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স স্বাদ এন্টারপ্রাইজ এর সত্তধিকারী শাহ আলম স্বপন জানান, তিনি তার কাজে ইট, বালু, সিমেন্ট ও রডসহ সকল উপকরণ নির্ধারিত সুচি অনুযায়ী ব্যবহার করছেন। সম্প্রতি মিস্ত্রীদের অবহেলায় একটি ফলস্ ছাদ ভেঙ্গে পড়েছে। সেটি পূণরায় ভেঙ্গে আবার নতুন করে করা হচ্ছে। একইসাথে ইটের পূর্বের গাথুনিগুলোও ভেঙ্গে নতুন করে করা হচ্ছে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ফেনী সদর কার্যালয়ের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. হাসান পারভেজ জানান, সম্প্রতি নিচতলার একটি ফলস্ ছাদ নির্মানের দুদিন পর ভেঙ্গে পড়েছে। তিনি বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত পুরো ভবনের সকল ফলস্ ছাদ ভেঙ্গে নতুন করে করার নির্দেশ দিয়েছেন। কলাম, পিলার ভিম, ছাদ ও সেফটিং ট্যংকের কাজ শেষে বর্তমানে ফলস্ ছাদ ও ইটের গাথুনির কাজ চলমান রয়েছে।

সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল গনি বলেন, স্কুল ভবনের একটি ফলস্ ছাদ ভেঙ্গে পড়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ডেপুটেশনে অন্য একটি কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি তাতক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে পারনে নি। দু’এক দিনের মধ্যে তিনি পরিদর্শন করে সংশিষ্ঠ কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করবেন।