দাগনভূঞা প্রতিনিধি->>

দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংস্কারকাজের ঠিকাদারি নিয়ে বিরোধে রবিউল হোসেন নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত রবিউল হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি নির্মাণ বিল্ডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার। এ হামলার জন্য রবিউল হোসেন দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফেনী জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবিরকে দায়ী করেন। তবে দিদারুল কবির এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, তিন মাস আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংস্কারকাজের জন্য ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়। পরে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্মাণ বিল্ডার্স কাজটি পায়। গত ১০ এপ্রিল দরপত্রের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ বুঝে নিতে গতকাল ফেনী স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলামের কাছে দাগনভূঞা হাসপাতালে যান রবিউল। এ সময় ৮-১০ জন যুবক তাঁর ওপর অতর্কিতে হামলা করে পিটিয়ে জখম করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের লোকজন এসে তাঁকে জরুরি বিভাগে নিয়ে চিকিৎসা দেন।

এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হোসেন বলেন, ‘হামলাকারীদের হাতে লাঠি ও লোহার রড ছিল। হামলার সময় তারা বলছিল, দিদার ভাইয়ের (দিদারুল কবির) অনুমতি ছাড়া আমি কেন এখানে কাজ করতে এসেছি।’

দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল কবির বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে তিনি অবগত নন। তাছাড়া তিনি ঠিকাদারি ব্যবসা করেন না বলে জানান।

ফেনী স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কার্যাদেশ পাওয়ার পর ঠিকাদার রবিউল হোসেন কাজ বুঝে নিতে এসেছিলেন। এ সময় কয়েকজন যুবক তাঁর ওপর হামলা চালায়। পিটিয়ে তাঁর মাথা, নাক, ঘাড় ও পা রক্তাক্ত করা হয়। এ বিষয়ে আমরা দ্রুত থানাকে অবহিত করি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।’

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম বলেন, হামলার কথা শোনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি। এ ছাড়া কেউ এ বিষয়ে কোনো অভিযোগও করেনি।

সূত্র : প্রথম আলো