ছাগলনাইয়া প্রতিনিধি->>

ফেনীতে সদ্য বিবাহিত প্রবাসী কপিল উদ্দিনের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার বাদ জুমা ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠান নগর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের কাছারি বাজারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রবাসী কপিল উদ্দিনের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে। মানববন্ধনে নিহত কপিল উদ্দিনের স্বজন ও গ্রামবাসিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিয়ের ২৪ দিন পর গত ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া গ্রামের ভূঁঞা বাড়ি থেকে জামাতা কপিল উদ্দিনের (২৮) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর আবুল হাসেম ভূঁঞারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পলাতক রয়েছে নিহতের স্ত্রী সাবরিনা আক্তার ও শ্বাশুড়ি।

নিহত কপিল উদ্দিন ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠান নগর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের সামছুল হক ফরাজীর ছেলে ও কঙ্গো প্রবাসী।

পুলিশ জানায়, কঙ্গো প্রবাসী কপিল উদ্দিন মাস খানেক আগে দেশে আসেন। গত ১ এপ্রিল ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া গ্রামের আবুল হাসেম ভূঁঞার মেয়ে সাবরিনা আক্তার সুবর্ণার সঙ্গে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার স্ত্রী শশুর বাড়িতেই থাকেন। শনিবার বিকেলে কপিল শশুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। এদিন স্বর্ণালঙ্কারের দাবি করে স্ত্রী ও তার পরিবার। এরপর রোববার বিকেলে শ্বশুরের ঘরের দোতলায় ড্রয়িং রুমে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় নাইলনের দড়ি দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেন কপিল। খবর পেয়ে রোববার রাতে ভূঁঞা বাড়ি থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ।

পুলিশ আরও জানায়, ঈদের পর স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে কপিলের নিজ বাড়িতে উঠিয়ে নেওয়ার কথা ছিরো বলে স্বজনরা জানিয়েছে। গত ২৫ এপ্রিল সোমবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করে পুলিশ। ওই দিন মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে প্রবাসী কপিল উদ্দিনের বাবা সামছুল হক ফরাজী বাদী হয়ে ছেলে স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ নিহতের শ্বশুর আবুল হাসেম ভূঁঞারকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।