নিজস্ব প্রতিনিধি->>

সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পাঠানো এক প্রবাসীর স্বর্ণালংকার ও মালামাল আত্মসাতের অভিযোগে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা থেকে একজন ও ফেনী পৌরসভা এলাকা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় আত্মসাৎকৃত মালামালের কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার জয়নগর গ্রামের মো. অহিদ উল্যাহ (৩৬) ও তাঁর শ্যালক সাইদুল ইসলাম (২৪)। অহিদ উল্যাহ বেশ কয়েক বছর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ছিলেন। মো. মুছা নামে আরেক প্রবাসীর পাঠানো মালামাল আত্মসাৎ করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে গত ৩১ মার্চ ফেনী মডেল থানায় মামলা করেছেন মুছার শ্যালক কামরুল হাসান।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ছাগলনাইয়া উপজেলার মো. অহিদ উল্যাহ ও মো. মুছা বেশ কয়েক বছর কাজের সূত্রে দুবাইয়ে একই এলাকায় ছিলেন। একই জেলার হওয়ায় দুজনের মধ্যে হৃদ্যতাও ছিল। মুছা দেশে আসার সময় অহিদ উল্যাহ তাঁর কাছে পরিবারের জন্য জিনিসপত্র দিতেন। সে কারণে তাঁদের দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্কও ভালো ছিল। গত মার্চে অহিদ উল্যাহ দুবাই থেকে দেশে আসেন। এ সময় মুছা তাঁর কাছে পরিবারের জন্য তিন জোড়া সোনার চুড়ি, একটি আইফোন ও বেশ কিছু প্রসাধনী সামগ্রী দেন। তবে সেগুলো মুছার বাড়িতে পৌঁছে দেননি অহিদ। উল্টো তাঁর বাড়িতে মুছার পরিবারের লোকজন আসলে তাঁদের অপমান ও গালাগালি করেন। মালামাল না পেয়ে মুছার শ্যালক কামরুল হাসান বাদী হয়ে অহিদ উল্যাহ, তাঁর স্ত্রী ও শ্যালকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর অহিদ উল্যাহ পালিয়ে যান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নারায়ণ চন্দ্র দাস বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গতকাল নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার সোনাগাছিয়া এলাকা থেকে অহিদ উল্যাহকে এবং ফেনী পৌরসভার বিরিঞ্চি এলাকা থেকে তাঁর শ্যালক সাইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ দুবাই থেকে প্রবাসী মুছার পাঠানো ছয়টি সোনার চুড়ির মধ্যে তিনটি চুড়ি ও একটি আইফোন ও তিনটি চুড়ি বিক্রির কিছু টাকা উদ্ধার করে। মামলার আরেক আসামি অহিদ উল্যাহর স্ত্রী পলাতক আছেন।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের আদালতে পাঠানো হবে।