নিজস্ব প্রতিবেদক->>

প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্ট এবিএম মূসার ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ক্লাবের আজীবন সদস্য এবিএম মূসা দীর্ঘ ৬৪ বছর ধরে সাংবাদিকতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন।

১৯৫০ সালে দৈনিক ইনসাফে তার সাংবাদিকতা শুরু। ওই বছরে তিনি ইংরেজি দৈনিক পাকিস্তান অবজারভারে যোগ দেন। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান অবজারভারে রিপোর্টার, স্পোর্টস রিপোর্টার ও বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় তৎকালীন পাকিস্তান সরকার অবজারভার বন্ধ করে দিলে তিনি দৈনিক সংবাদে যোগ দেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বিবিসি, সানডে টাইমস প্রভৃতি পত্রিকার সংবাদদাতা হিসেবে তিনি রণাঙ্গন থেকে সংবাদ প্রেরণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৭৮ সালে এবিএম মূসা ব্যাংককে অবস্থিত জাতিসংঘের পরিবেশ কার্যক্রমের (এসকাপ) এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক পদে যোগ দেন। ১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বংলাদেশ সংবাদ সংস্থার মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে তিনি কিছু দিন দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

এবিএম মূসা জাতীয় প্রেস ক্লাবের চারবার সভাপতি এবং তিনবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ক্লাবের আজীবন সদস্য এবিএম মূসা একুশে পদকসহ দেশি বিদেশি নানা পুরস্কারে ভূষিত হন। ‘মুজিব ভাই’ এবং ‘আমার বেলা যে যায়’ তার অন্যতম প্রকাশিত গ্রন্থ। এবিএম মূসা জীবনের শেষ দিনগুলোতে একজন দর্শকপ্রিয় আলোচক এবং সংবাদ বিশ্লেষক হিসেবে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

এবিএম মূসার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার পরিবার এবং এবিএম মূসা-সেতারা মূসা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সবার দোয়া কামনা করা হয়েছে।

১৯৩১ সালে নানার বাড়ি ফেনী জেলার ধর্মপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সাংবাদিক ও কলাম লেখক এবিএম মূসা।