দাগনভূঞা প্রতিনিধি->>
দাগনভূঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুরের হাসান গনিপুর বাংলাদেশ অরফারেন্স সেন্টার,প্রাথমিক বিদ্যালয় ওএতিমখানার দূর্নীতি অনিয়মে বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতা আজিজুর রহমানকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়। এর আগে দূর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সাইফুল ইসলাম ভূইয়া,থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ,উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার শরিয়ত উল্লাহ বাঙ্গালী বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রায়হান, ইপি সদস্য নজরুল ইসলাম মিন্টুসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
ইউপি মেম্বার মিন্টু জানান,স্থানীয় হাফেজ শহীদ উল্লাহ এক যুগের বেশী সময় তথা প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়নি।নিজের অনুগত লোকজনকে কমিটিতে সদস্য করে পকেট কমিটি করে রেখেছে।তিনটি পৃথক প্রতিষ্ঠান হলেও একটি কমিটি দিয়ে চলছে দায়সারাভাবে। বিদেশে অর্থায়নে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান গুলোর লাখ লাখ টাকা বিভিন্ন নামে বেনামে লুটপাট করছে এই শহীদ উল্লাহ।
আবু হাসান দিদার নামে স্থানীয় একজন জানান, তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানাজানি হলে আবদুর রহিম নামে এক জনকে গতমাসে প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব হিসাবে দায়িত্ব দেন এ শহীদ।এ ছাড়া স্থানীয় মরহুম ফরিদ মেম্বারের ছেলে অরফারেন্সের সভাপতি শাহ আলম হলো শহীদ উল্লাহর সকল অপকর্মের স্বাক্ষী। অনিয়মের তদন্তের কথা শুনে শাহ আলম অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।তিনি বোবা শয়তান হিসাবে শহীদ উল্লাহর থেকে ফেনীতে বসে থেকে বিভিন্ন ভাগবাটোয়ারা নেন।শাহ আলম ফেনী শহরের জহিরিয়া মসজিদের সামনের জহিরিয়া মার্কেটের একটি ফোম দোকানের মালিক।হাফেজ শহীদ উল্লাহ দাগনভূঞা পৌরসভার আলাইয়ারপুর মোখলেসুর রহমান হাফেজিয়া মাদ্রাসার সামান্য শিক্ষক হয়েও আজ বিপুল সম্পত্তির মালিক।অভিযোগের বিষয়ে শাহ আলম ও হাফেজ শহীদ উল্লাহ জানান, বিভিন্ন কারনে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়নি। আমাদের জানামতে কোন দূর্নীতি অনিয়ম হয়নি। এদিকে সোমবার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবদুর রহমান প্রতিষ্ঠানটির এতিমখানার অনিয়ম তদন্তে গেছেন। অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সাইফুল ইসলাম ভূইয়া জানা,তাদের সকল কার্যক্রম তদারকি করা হচ্ছে।