বিশেষ প্রতিনিধিঃ slide-4

ফেনীর ফুলগাজী চেয়ারম্যান একরাম হত্যাকান্ডে সন্দেহের তালিকায় রয়েছে ঢাকাস্থ ফেনী সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল।এই হত্যাকান্ডে অর্থ যোগানদাতাদের মধ্যে সন্দেহের তালিকায় তার নাম আলোচনায় এসেছে।

২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। তখন ফেনী-১ (ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া ও পরশুরাম) দলীয় মনোনয়ন পেলেও একপর্যায়ে তার মনোনয়ন বাতিল করে ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফয়েজ আহম্মদকে মহাজোটের প্রার্থী করা হয়।
২০১৪ সালের নির্বাচনে ফের দলীয় মনোনয়ন পেতে তৎপরতা শুরু করলে অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামের বাধার মুখে পড়েন। ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যানারে পরশুরাম উপজেলার রাজষপুর বাজারে দুলালের শো-ডাউনে হামলা ও তার কয়েকটি গাড়ি আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয় একরাম সমর্থকরা। তখন অল্পের জন্য দুলাল প্রাণে বেঁচে গেলেও কোম্পানির এমডিসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী আহত ও অপদস্থ হন। ওই ঘটনার পর তিনি আর নির্বাচনী এলাকায় পা বাড়াননি।

এ ছাড়া এলাকার জগৎপুর হাইস্কুল কমিটির সভাপতি পদ থেকেও কিছু দিন আগে তাকে বাদ দেয়া হয়।
বিভিন্ন সূত্র মনে করছে, অপমানের প্রতিশোধ নিতে তিনিও একরামের কিলিং মিশনে সহায়তা করতে পারেন। তদন্তকারী সূত্র বীভৎস এই হত্যাকাণ্ডে তার যোগসূত্র রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে।