নিজস্ব প্রতিবেদক->>

ফেনীতে বিনম্র শ্রদ্ধায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হন জেলাপ্রশাসক, পুলিশ সুপার, রাজনৈতিক দল, বীরমুক্তিযোদ্ধা এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে নেতৃবৃন্দ।

সকালে জেলা প্রশাসন থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান- জেলাপ্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান- পুলিশ সুপার জাকির হাসান এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান সিভিল সার্জন ডা. মো. শিহাব উদ্দিন। এসময় বীরমুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা পরিষদ ও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এর আগে দিবসটি পালন উপলক্ষে ফেনী সরকারি কলেজ প্রাঙ্গন থেকে বধ্যভূমি পর্যন্ত র‍্যালি করে প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

পরবর্তীতে শ্রদ্ধা জানায় ফেনী জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন। জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রটোকল অফিসার ও আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। এসময় তারা অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের পক্ষেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট হাফেজ আহম্মদ,দপ্তর সম্পাদক একে শহীদ উল্ল্যাহ খোন্দকার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দিবসটি উপলক্ষে বীরমুক্তিযোদ্ধা খাজা আহমদ অডিটোরিয়ামে ফেনী সরকারি কলেজের সহযোগিতায় আলোচনা সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন ফেনী৷ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলাপ্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।

এসময় বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ফেনীতে ২০২১ সালের গ্যাজেট অনুযায়ী শহীদুল্লাহ্ কায়সার, সেলিনা পারভীন, জহির রায়হানসহ অনেক শহিদ বুদ্ধিজীবী রয়েছে। তাঁরা ফেনীর অহংকার। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের এ দিনে গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, দেশের মেরুদন্ড ভাঙ্গতে রাজাকারদের সহযোগিতায় এ নৃশংস হত্যাযোগ্য চালায় পাকিস্তানিরা। কিন্তু তাদের সে লক্ষ্যে পূরণ হয়নি।বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।

আলোচনা সভায় ফেনী সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মোক্তার হোসেইনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. মো. শিহাব উদ্দিন,স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মো. বাতেন, ফেনী সরকারি কলেজ উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ দেলওয়ার হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা হোসেন।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার শিফাত বিনতে আরা ও জেলা কালচারাল কর্মকর্তা এইচটি কামরান হাসানের যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জেলাপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যায় ফেনী সরকারি কলেজ বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি পালিত হয় বলে জেলাপ্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।