বিশেষ প্রতিনিধি->>

দাগনভূঞা পূর্ব ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক জামাত নেতা আব্দুল হাই সবুজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে ঢাকার হাতিরঝিল থানা এলাকার একটি বাসা থেকে দাগনভূঞা থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানায়, ৫টি চেক প্রতারণার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল হাই সবুজ ফেনীতে জাগরণ রিয়েল এস্টেট ও দাগনভূঞা জাগরণ সুপার সপ থেকে গ্রাহকের প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

দাগনভূঞার তিতুমীর হজ্ব কাফেলার সাবেক চেয়ারম্যান মৃত আবু তাহেরের ছেলে মোঃ জোবায়ের জানান, আব্দুল হাই সবুজ তার বাবার ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এই টাকার কারণে তার বাবা স্ট্রক করে মৃত্যুবরণ করেন।

জাগরণ সুপার শপ এর সাবেক চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন জানান, আব্দুল হাই সবুজ জাগরণের শত শত গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করে দীর্ঘদিন পালিয়ে রয়েছেন। তার অনিয়ম দুর্নীতির কারণে জাগরণ সুপার শপ ও জাগরণ রিয়েল এস্টেট ধ্বংস হয়ে গেছে। বহু মানুষ পথের ভিখারী হয়ে গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছু জামাতের এক নেতা জানান, আর্থিক অনিয়মের কারণে তিনি ফেনী জেলা জামাতে রোকন পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

দাগনভূঞা থানার এসআই মোহাম্মদ ফরহাদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে প্রলাতক আসামী আব্দুল হাই সবুজ ঢাকার হাতিরঝিল নয়াটলা আমবাগান এলাকায় অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে হাতিরঝিল থানা পুলিশের সহযোগিতা তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ আরও জানায়, দাগনভূঞা বহু মানুষের টাকা আত্মসাৎ করে সবুজ দীর্ঘ আট থেকে দশ বছর পলাতক রয়েছেন। সবুজ বর্তমানে ওই এলাকায় বড় মৌলভী নামে পরিচিত এবং সেখানে ডেভলপার ব্যবসা করছেন। স্থানীয় সরকার দলের একটি ইসলামী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। বুধবার তাকে আদালতের সোপর্দ করা হয়েছে।