নিজস্ব প্রতিনিধি->>

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার মো. হক সাবসহ চার ডাকাতকে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এসময় বিপুল পরিমাণ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার ও একটি পিকআপ জব্দ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানার খিল মুরারী গ্রামের শাহ আলমের ছেলে মো. হক সাব ওরফে মাদক সম্রাট (২৩), একই থানার হিঙ্গুলী গ্রামের মো. আলমগীর হোসেন আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম রনি (২৪), নারায়ণগঞ্জ জেলার চরপাড়া এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে চাঁন মিয়া (২৮) ও সুনামগঞ্জ জেলার আকতাপাড়া এলাকার তারা মিয়ার ছেলে সিজিল মিয়া ওরফে সোহাগ (৩০)।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে র‌্যাব’র একটি দল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জোরারগঞ্জের বারইয়ারহাট এলাকায় অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। এসময় সন্দেহভাজন একটি পিকআপকে থামানোর সংকেত দিলে পিকআপটি না থামিয়ে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা কারে। পরে র‍্যাব ধাওয়া করে পিকআপটি জব্দ করে তল্লাশি চালায়।

এসময় পিকআপ থেকে একটি পাইপগান, একটি কার্তুজ, চাপাতি, ধামা, তালা কাটার মেশিন, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদি ও অটোরিক্সার লুটকৃত ৩৪টি ব্যাটারি সহ মালামাল উদ্ধার করা হয়। পিকআপ এ থাকা চার ডাকাতকে আটক করে র‍্যাব।

র‌্যাব’র জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাত দলের নেতা জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়ক ও আশপাশের এলাকায় ডাকাতি করে আসছিল।
বিশেষ করে যারা বড় অংকের নগদ টাকাসহ ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত করে তারা ডাকাত দলের মূল টার্গেটে থাকে। ডাকাতরা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারের পাশাপাশি মহাসড়কের গাড়ি থামিয়ে ব্যাটারি ও যন্ত্রাংশ ডাকাতির সঙ্গে জড়িত।

র‌্যাব আরও জানায়, আটকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ডাকাত সর্দার মোঃ হক সাব এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ এবং সীতাকুন্ড থানায় ডাকাতি, মাদক, চুরি, হত্যার চেষ্টা এবং অস্ত্র আইনসহ সর্বমোট ২০ টি মামলা রয়েছে।

র‌্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দায়ের করে মহাসড়কের জোরারগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।