বিশেষ প্রতিবেদক->>

ফেনী সরকারি কলেজে মাস্টার্স ফাইনালের ব্যবহারিক পরীক্ষার উত্তরপত্র বাসায় লিখে সাথী বৈদ্য নামে এক শিক্ষার্থীর জমা দেয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মোক্তার হোসেইন এ কমিটি গঠন করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গণমাধ্যমে ‘ফেনী কলেজে মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা- স্বামী শিক্ষক, তাই বাসায় উত্তরপত্র লিখে স্ত্রীর জমা’ এ শিরোনামে তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশিত হলে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সচেতন মহলে তোলপাড় শুরু হয়। বৃহস্পতিবার কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ দেলওয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অপরাপর সদস্যগণ হলেন- পদার্থবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর দোলন কৃষ্ণ সাহা ও শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক জয়নাল আবদীন। উল্লেখিত কমিটিকে ১০ কর্মদিবস সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।

গত বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ফেনী কলেজে মাস্টার্স ফাইনালের ব্যবহারিক পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ ছিল। আগের দিন রাতে গণিত বিভাগ থেকে স্ত্রীর জন্য প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র নিয়ে যান প্রভাষক দিদোয়ানুল কবির ছোটন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক কলেজ প্রশাসনকে জানানো হয়। পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ে ম্যাথ ল্যাবের লিখিত উত্তরপত্র (রেজি: ১৯৩৩৭০৭০২৯৬) জমা দেয় সাথী বৈদ্য। ভাইভা বোর্ডের যৌথ সিদ্ধান্তক্রমে সাথী বৈদ্যের উত্তরপত্রে ১৫০ নাম্বারের মধ্যে অর্ধেক নাম্বার দেয়া হয়।