সোনাগাজী | তারিখঃ May 21st, 2023 | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 22665 বার

সোনাগাজী প্রতিনিধি->>
সোনাগাজীতে মঙ্গলকান্দি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে উপসহকারি ভূমি কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দালাল রেখে ঘুস বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অফিসের ভেতরে চারজন দালালকে টেবিল চেয়ারে বসিয়ে ওই অফিসের সরকারি কর্মকর্তা সাজিয়ে তিনি এমন বাণিজ্য করছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তার এমন অপকর্মে বিক্ষুব্ধ জনতা ক্ষোভে ফুঁসে উঠে গত ১৭মে বুধবার তাকে লাঞ্ছিত করেছেন। এরপরও দালালদের দৌরাত্ম্য এবং ওই কর্মকর্তার ঘুস বাণিজ্যের দাপট থামেনি।
এলাকাবাসী জানায়, মো. মোস্তফা, বিজন দাস, অপু ও তপু নামে চারজন দালালকে অফিসের কর্মকর্তা সাজিয়ে বসিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। সেবা প্রার্থীরা সেবা পেতে ওই কর্মকর্তার অফিসে গেলে তিনি চিহ্নিত চারজন দালালের সঙ্গে কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলেন। তার কথামত দালালদের সঙ্গে কথা বলার পর তারা সেবা প্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুস দাবি করেন এবং ওই কর্মকর্তার সাথে ঘুসের টাকার অংকের মধ্যস্থতা করে দেন।
বখতারমুন্সি শেখ শহীদুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহযোগি অধ্যাপক নাফিজ উদ্দিন বলেন, তার বসতবাড়ির ভূমি উন্নয়ন কর দিতে গেলে একই কায়দায় দালালদের সঙ্গে কথা বলতে বললে দালালেরা এক লাখ টাকা ঘুস দাবি করেন। দাবিকৃত ঘুস দিতে অস্বীকার করলে তার ভূমিগুলো খাস খতিয়ান ভুক্ত করে দেওয়ার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে তিনি স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে গত ১৭মে বুধবার নজরুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করেন। বিষয়টি পরে সোনাগাজী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে অবগত করেন।
দক্ষিণ চরদরবেশ গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন চৌধুরী নামে এক ভূমি মালিক বলেন, তিনি তার মালিকীয় জমির ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে গেলে ওই দালালদের মাধ্যমে তার কাছে দেড় লাখ টাকা ঘুস দাবি করলে তিনি ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ না করে চলে আসেন। সরকারি কর্মকর্তা না হয়েও সরকারি অফিসে দাপ্তরিক কাজ ও ঘুস লেনদেন করা ফৌজধারী অপরাধ। দুর্নীতি দমন কমিশন সহ আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছি। জনগণকে হয়রানিমুক্ত করতে মানববন্ধন সহ কঠোর আন্দোলনেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে এলাকাবাসী।
একই গ্রামের বেলায়েত হোসেন বলেন, সরকার ঘুস বন্ধ করতে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের পদ্ধতি চালু করলেও ভূমি উপসহকারি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম নানা অজুহাতে ভূমি মালিকদের কাছ থেকে দালালদের মাধ্যমে ঘুস লেনদেন অব্যাহত রেখেছেন। চারজন চিহ্নিত দালালের মাধ্যমে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ঘুস বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছেন।
এ ব্যাপারে মঙ্গলকান্দির ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারি নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসিল্যান্ডের মৌখিক আদেশে ডাটা এন্ট্রি করার জন্য তিনি চারজন ব্যক্তিকে রেখেছেন। এধরণের কোন নিয়ম আছে কিনা এবং ঘুস লেনদেনের বিষয়ে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
সোনাগাজী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এসএম অনিক চৌধুরী বলেন, ডাটা এন্ট্রির জন্য লোক রাখা হয়েছে শুনেছি। ঘুস লেনদেনের বিষয় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করেন তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, অনৈতিকভাবে সরকারি অফিসে বসে কেউ অনৈতিক কাজ করবে সেটা মেনে নেওয়া যায়না। বিষয়টি আজকে জেনেছি। অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোমেনা খাতুন বলেন, এ ধরণের ঘটনার জন্য অবশ্যই তদন্ত করে সত্যতা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- আমাদের নিজেদের অর্থ-শ্রম দেশের কাজে লাগালে দেশের আরও উন্নয়ন হবে: জেলা প্রশাসক
- ফেনীতে যুবদলের বিক্ষোভ সমাবেশ
- সংস্কৃতি খাতে বাজেটের ১ শতাংশ বরাদ্দের দাবিতে ফেনীতে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সমাবেশ
- ফেনীতে গাঁজাসহ দুই রোহিঙ্গা যুবক আটক
- ফেনীতে জাল সনদে শিক্ষকতা, দুই শিক্ষক চাকুরীচ্যুত
- ফেনীতে বজ্রপাতসহ স্বস্তির বৃষ্টি
- সোনাগাজীতে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
- ৬ দফা দিবসে ফেনীতে আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রা ও সমাবেশ
- ছাগলনাইয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৭ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
- সোনাগাজীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের অভিযোগ
Leave a Reply