নিজস্ব প্রতিনিধি->>

ফিলিং স্টেশনে গ্যাস না পাওয়া এবং সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে ফেনী জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কপথে বাস এবং সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

বাস চলাচল কমে যাওয়ায় এই এলাকায় বেড়েছে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। কিছুদিন ধরে গ্যাসের সংকটকে পুঁজি করে যাত্রীদের জিম্মি করে এসব পরিবহনের চালকরা ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন বলে জানা গেছে। এতে সাধারণ যাত্রী ও চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন।

ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, জেলার অভ্যন্তরীণ সব সড়কে শৃঙ্খলা না মেনে চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করছেন। এ নিয়ে প্রতিনিয়ত যাত্রীদের সঙ্গে চালকদের তর্ক, এমনকি মারামারির মতো ঘটনাও ঘটছে। যাত্রীরা চালকদের কাছে ভাড়া নিয়ে একরকম জিম্মি হয়ে পড়েছেন। সড়কে বাস কম থাকায় যাত্রীরা এ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

অটোরিকশার চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোনাগাজী থেকে জেলা শহরের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। এ সড়কে আগে পাঁচজন যাত্রী ধারণক্ষমতার সিএনজি চালিত অটোরিকশায় জনপ্রতি ভাড়া ছিল ৪০ টাকা। কিন্তু গ্যাস সংকটের কারণে ওই ভাড়া দিনে ৬০ টাকা এবং রাতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। বাস ভাড়া ৩০ টাকার স্থলে নেওয়া হচ্ছে ৪০ টাকা।

ফেনী থেকে মুন্সিরহাট পর্যন্ত জনপ্রতি ভাড়া ২৫ টাকা নির্ধারণ করা আছে। বুধবার (১৭ মে) আদায় করা হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ফেনী থেকে পরশুরাম পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার সড়কে জনপ্রতি ৩০ টাকার ভাড়া আদায় করা হয় ৮০ টাকা। এ ছাড়া জেলার প্রায় সব সড়কে  চালকরা প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোনাগাজীর বাসিন্দা আমজাদ হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, ব্যবসায়ীক কাজে তাকে প্রতিদিন ফেনী শহরে যেতে হয়। রাত ৮টার পর ৪০ টাকার ভাড়া হয়ে যায় ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এমন নৈরাজ্য চললেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচে। 

জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান বলেন, কেউ যেন সুযোগ সন্ধানী না হয় সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। জনভোগান্তি সৃষ্টির খবর পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।