দাগনভূঞা প্রতিনিধি->>

আবহাওয়া অনুকূলে এবং জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় এবার বাদাম চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন দাগনভূঞা উপজেলার কৃষকরা। দাম ও ফলন ভালো পাওয়ায় বেশ খুশি তারা। নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প ও প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় আবাদ হয়েছে উচ্চফলনশীল জাতের চিনাবাদাম।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১৩ হেক্টর জমিতে চলতি মৌসুমে বাদামের আবাদ হয়েছে। উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের কৃষক সামছুল হক ৫০ শতক, মো. রহিম উল্যাহ ভূঁইয়া ৫০ শতক, ছায়দুল হক ৫০ শতক, লকিয়ত উল্যাহ ৪০ শতক এবং একই এলাকার কৃষক মো. জামাল উদ্দিন ২৫ শতক জমিতে চিনাবাদাম চাষ করেছেন। এছাড়াও উপজেলার অন্য ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বেশ কয়েকজন বাদাম চাষ করেছেন।

উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন বাদাম ক্ষেতে দেখা গেছে, কৃষকরা বাদাম তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কেউ বাদাম বস্তাবন্দি করছেন আবার অনেকেই ভেজা বাদাম রোদে শুকাচ্ছেন।

রামনগরের কৃষক সামছুল হকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি ৫০ শতক জমিতে কাশিমপুরী চিনাবাদাম আবাদ করেছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগের উৎসাহে প্রথমবারের মতো বাদাম চাষে আগ্রহী হয়েছেন তিনি। এতে ফলন হয়েছে প্রায় ৩৫০ কেজি। পাইকারি বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ১৩০ টাকা।

একই গ্রামের কৃষক মো. রহিম উল্যাহ ভূঞা বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় চিনাবাদাম করেছি। এবার চিনাবাদামের অনেক চাহিদা। কম খরচে বাদাম চাষে লাভ বেশি। জমিতে বাদামের ফলন দেখে অনেক কৃষক আগামীতে বীজ নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’

রামনগর ইউনিয়নের বাদাম প্লট পরিদর্শন করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন মজুমদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. জুলফিকার হায়দার, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সফিক উল্যাহ।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সফিক উল্যাহ বলেন, ‘মাঠে গিয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

দাগনভূঞা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন, ‘চিনাবাদাম একটি স্বল্পমেয়াদি অর্থকরী ফসল। গত বছরের তুলনায় এবার উপজেলায় চিনাবাদামের আবাদ বেড়েছে। হালকা, ঝরঝরে দোআঁশ মাটিতে বাদাম চাষ করা উচিত। চিনাবাদাম চাষাবাদে খরচ কম হওয়ায় আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষকরা।’