দাগনভূঞা প্রতিনিধি->>

দাগনভূঞা উপজেলায় সুস্বাদু ফল মাল্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে,উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জাঙ্গালীয়া গ্রামের চাষী এএএম শামসুল করিম ১২ শতক জমিতে বারি মাল্টা-১ (গ্রীন মাল্টা) চাষ করেছেন। তার মাল্টা বাগানে সবুজ পাতার ভেতরে থোকায় থোকায় ঝুলছে মাল্টা। রসে টইটম্বুর স্বাদে ও ঘ্রাণে অতুলনীয়। খেতেও বেশ মিষ্টি। এই মাল্টা ভিটামিন-সি এর ভালো উৎস।

গ্রীন মাল্টা চাষী শামসুল করিম জানালেন, এনএটিপি-২ প্রকল্পের আওতায় ২০১৮ সাল থেকে মাল্টা চাষ করছি। ১২ শতক বাগানে বারি-১ জাতের ২৬টি মাল্টা গাছ রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকা ও সঠিক পরিচর্যার ফলে ফলনও হচ্ছে তার বাগানে। প্রতিটি গাছে গড়ে ফলন হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০টি। বিক্রিও হচ্ছে ভালো। কেজি ১২০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে।

শামসুল করিমের বাগান দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে উপজেলায় জুড়েই মাল্টা চাষে আগ্রহীর সংখ্যা বাড়ছে। দাগনভূঞার বিভিন্ন স্থানে আরও ১০ জন কৃষক গ্রীন মাল্টা চাষ করেছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন মজুমদার।

তিনি বলেন, লাভবান হওয়ায় মাল্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের। প্রথম ফলন সম্পন্ন হলে মোট উৎপাদন নির্ণয় করা যাবে।

দাগনভূঞা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের রাজাপুর অঞ্চলের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, চাষিদের বারি মাল্টা-১ চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। আগ্রহী চাষিদের বিনামূল্যে মাল্টা চারা প্রদান করা হয়েছে। মাল্টা গাছ সারা বছর ফল দেয়।