শহর প্রতিনিধি->>

ফেনী জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন জসিমকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর বিষয়ে আদালতে অভিযোগ দেয়ার পর থেকে জসিমের স্ত্রী লুৎফুন নাহারকে হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের রামপুরে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এমন অভিযোগ করেন লুৎফুন নাহার পারভিন।

লিখিত বক্তব্যে লুৎফুন নাহার বলেন, গত ২১ জুলাই রাজধানীর কাকরাইল মোড় নাভানা টাওয়ার থেকে তার স্বামী জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসের জসিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর আমি ফেনী মডেল থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ আমাকে জানায় জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর তা স্বীকার না করায় আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম। কিন্তু আমি জানতে পারি আসামার স্বামী জসিমকে গ্রেপ্তারের পর চোখ বেঁধে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায়। এসময় পুলিশ তার কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাও দাবী করেন। না হয় জসিমকে ক্রসফায়ারের মাধ্যমে হত্যা করা হবে বলেও পুলিশ হুমকি দেয়। তবে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আমারা স্বজনরা জেনে যাওয়ায় জসিমকে গুম ও হত্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ওই রাতে (২২ জুলাই দুপুর ১টা দিকে) তাকে ফেনীর বাসায় এনে পুলিশ অস্ত্র দিয়ে তা আবার উদ্ধারের নামে নাটক সাজায়। আমাদের বাসায় থাকা সব মোবাইল ও ক্যামেরা নিয়ে যায়। অনুরোধ করার পরও ব্যবহৃত মোবাইল ও ক্যামেরাগুলো দেয়নি।

এ ঘটনায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফেনী সদর আমলী আদালত-১ এর বিচারক মুহাম্মদ আশেকুর রহমানের আদালতে ১০ আগস্ট মামলা দায়ের করার পর থেকে আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে পুলিশ ও সরকারী দলীয় লোকজন। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

লুৎফুন নাহার আরও বলেন, অস্ত্র উদ্ধারের নামে সাজানো ও মিথ্যা এ ঘটনার সাথে কারা জড়িত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যেন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আসল ঘটনা উম্মোচন করেন সেই দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে পুলিশের উদ্ধার দবিকৃত অস্ত্রটি কার, প্রয়োজনে ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে সেটি সবার সামনে উম্মোচনেরও দাবি করছি। এছাড়াও ওই দিনের ঘটনার সাথে যারা যারা জড়িত ছিলো তাদের মধ্যে আদালতে আমি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি তারা ছাড়াও আরো কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা ও অন্যান্য ব্যক্তিরা জড়িত রয়েছেন। নিরপেক্ষ তদন্ত করে তাদের সকলের নামসহ সঠিক তথ্য জাতির কাছে তুলে ধরার অনুরোধ করছি।

তিনি আরো বলেন, পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারের নাটকের দিন আমার ছেলে-মেয়েদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছেন। পুলিশ আমার শাশুড়িকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমার বড় ছেলেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আদালতে মামলা করার পর থেকে আমরা বাসা থেকে বের হওয়া থেকে শুরু করে বাসায় ফিরে আসা পর্যন্ত আমাদের পিছনে লোক লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে নিরাপত্তা চাই।