দাগনভূঁঞা প্রতিনিধি->>

দাগনভূঁঞার রাজাপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে কওমি ও হাফেজীয়া মাদরাসার ৮ বছরের এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২১ জুলাই) রাতে মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তি হলেন- মাদরাসার হেফজখানার আবাসিক বিভাগের শিক্ষক মাওলানা আবদুল জলিল (২১)। তিনি খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারার উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।

রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মামুন ছাত্রের বাবার বরাত দিয়ে জানান, ছাত্রটিকে ওই শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে বলাৎকার করে আসছেন। শিশুটি মাদরাসা ছুটিতে বাড়িতে যায়। ছুটি শেষে শিশুটি মাদরাসায় আসতে না চাওয়ায়, তার মা-বাবা তাকে কারণ জিজ্ঞেস করলে শিশুটি বলাৎকারের বিষয়টি তাদের জানায়। এ ঘটনাটি শিশুটির বাবা মাদরাসা কমিটিকে জানিয়ে থানায় মামলা করেন।

পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটি ঘটনার বিস্তারিত খুলে বলে এবং তাকে বিভিন্ন ধর্মীয় কসম ও শ্রেণিকক্ষে মারধরের ভয় দেখিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক শিশুটির সঙ্গে এ সমস্ত কর্মকাণ্ড করত বলে জানায়। হুজুর যা বলে তাই সঠিক এবং হুজুর যা করে তাই স্বাভাবিক বলে শিশুটির মনে বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণা দিয়ে শিশুটিকে বলাৎকার করতেন অভিযুক্ত জলিল।

দাগনভূঁঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাসান ইমাম বলেন, শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুল জলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুল জলিলকে বৃহস্পতিবার বিকালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুর হাসানের আদালতে শিক্ষক আব্দুল জলিল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। পরে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।