দাগনভূঞা প্রতিনিধি->>

দাগনভূঞা উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সালিস বৈঠকে প্রতিপক্ষের হামলায় শাহজালাল ফারুক (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শনিবার বেলা ১১টার দিকে দক্ষিণ খুশীপুর গ্রামের মির্জা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় নিহত ফারুকের ভাই আবদুল হালিম (৩৫) ও বাবা আবদুল হাকিম (৬৫) আহত হয়েছেন।

নিহত শাহজালাল ফারুক উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের দক্ষিণ খুশীপুর গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, আজ সকালে দক্ষিণ খুশীপুর গ্রামের মির্জা বাড়িতে শাহজালাল ফারুকের চাচা ও চাচাতো ভাইদের মধ্যে পারিবারিক জমিজমা নিয়ে সালিস বৈঠক বসে। সালিসের একপর্যায়ে ফারুকের চাচা আবদুল হাকিম কথা বলতে গেলে সাহাবুদ্দিন নামের তাঁর এক ভাতিজা তাঁকে বাধা দেন। এটা নিয়ে তর্কের একপর্যায়ে সাহাবুদ্দিন তাঁর চাচা আবদুল হাকিমকে কিলঘুষি মারতে থাকেন।

এ সময় সালিসে উপস্থিত শাহজালাল ফারুক এগিয়ে যান এবং তাঁর সঙ্গে সাহাবুদ্দিনের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে সাহাবুদ্দিনের পক্ষের লোকজন উঠে এসে আবদুল হাকিম ও শাহজালাল ফারুককে মারধর করেন। খবর পেয়ে ফারুকের ছোট ভাই আবদুল হালিম তাঁদের নতুন বাড়ি থেকে সেখানে গেলে তাঁকেও পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।

সেখান থেকে আবদুল হালিমকে দ্রুত দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। আহত শাহজালাল ও তাঁর বাবা আবদুল হাকিমকে অন্য ব্যক্তিরা তাঁদের নতুন বাড়িতে নিয়ে যান। দুপুর ১২টার দিকে সেখানে শাহজালাল ফারুক অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যান। দ্রুত তাঁকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

দাগনভূঁঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম বলেন, মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।