MINTO SAGOR

ছবির ক্যাপশন:-বাম থেকে আবিদ,তারপর সিফাত মাঝখানে (সাদা গেঞ্জি) পরশুরামের সৈকত

বিশেষ প্রতিনিধি:
ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক কিলিং মিশনে যেকজন পিস্তল সহ ছিল তার মধ্যে অন্যতম পরশুরাম উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি নাসিমা কামরুল এর ছেলে সৈকত। সৈকতের বাবা মা বড় ভাই চাচা সহ সবাই বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। পিতা মাতা অঢেল টাকার মালিক হওয়া ছেলে ছিল পরিবারের নিয়ন্ত্রনহীন ।
সৈকত ফেনী পাইলট হাই স্কুলে পড়ালেখার সুবাধে ঘনিষ্ট বন্ধু হয়ে যায় ফেনীর গডমাদার বলে পরিচিত বড় মনির ছেলে আবিদের সাথে। ছেলের সাথে সাথে নাসিমা কামরুলের পারিবারিক ভাবে ও সম্পর্ক গড়ে উঠে আবিদ ও সিফাতের পরিবারের মধ্যে।
নাসিমা কামরুল ও তার পরিবারের সাথে আবিদ ও সিফাতরে একাধিক পারিবারিক ছবি দেখা গেছে।
গ্যাস কামরুলের কর্মক্ষেত্রে সুবিধার জন্য একপর্যায়ে ভুমিকা রাখে আবিদ , সিফাত ও সৈকত তাই পরিবার থেকে আবিদের সাথে মেলামেশাতে বাধা দিত না নাসিমা কামরুল। একাডেমী এলাকায় প্রকাশ্যেই বিভিন্ন স্কুল ছাত্রীকে উত্যাক্ত করার একাধিক ঘটনা ঘটেছে সৈকতের বিরোদ্বে কিন্তু আবিদের বন্ধু হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতো না।
সৈকত একে একে বন্ধু হয়ে যায় আবিদ ,সিফাত, রুটি সোহেল সহ ঢাকার হেলালের সাথে। ইয়াবা ও মাদক সেবন থেকে শুরু করে সব অপকর্মের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে সৈকত। সিফাতের পরিবারের সব সদস্য বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলে ও সৈকত ফেনীর বড় মনির ছেলে আবিদের সাথে বন্ধুত্বের সুবাধে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে যায়। সৈকত পরশুরাম উপজেলা যুবদলের সভাপতি এ্যাডভোকেট আবদুল আলিম মাকসুদ এর আপন ভাতিজা, এছাড়া সৈকতের বড় ভাই সাগর পরশুরাম উপজেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি বলে জানা গেছে।
একরাম হত্যার অন্যতম পরিকল্পনা কারী ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জাহিদ চৌধূরী গত ১৯ মে রাতে ৫ জন কে ৫ টি পিস্তল দিয়েছিল তাদের মধ্যে সৈকত কে ও একটি পিস্তল দিয়েছিল কিলিং মিশনে সৈকত ও অংশ নিয়েছিল, ফেনী পৌর সভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল্লা হিল শিবলু তাদের পিস্তল চালানোর প্রশিক্ষন দিয়েছিল সালাম ষ্টেডিয়ামে। আবিদ, সৈকত, সিফাত, সাহান, অনিক, শিপন, রুটি সোহেল, এরা সবাই ছিল ঘনিষ্ট বন্ধু । ঢাকায় গিয়ে তারা ধন্যাঢ্য পরিবারের বখাটে ছেলে হেলালের বাসায় থাকতো । একরামুল হক কিলিং মিশন শেষ করেই সবাই একসাথে ঢাকায় গিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার হেলালের বাসায় আত্বাগোপন করেছিল। সৈকত এর বাড়ী পরশুরাম উপজেলার উত্তর গুথুমা গ্রামে। সৈকতের বাবা কামরুল চাকুরীর সুবাদে ফেনীর একাডেমী এলাকায় সবুজ সাথি কিন্ডার গার্ডেনের পার্শে বসবাস করতেন । কামরুল ফেনী বাখরাবাদ গ্যাস অফিসের রেকর্ডকিপার হিসাবে কর্মরত থাকলে ও ফেনী ও পরশুরামে গ্যাস সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন । পরশুরাম বাজারের কলেজ রোডে রয়েছে বিলাশ বহুল ভবন, গুথুমা ও রয়েছে একটি বিলাশ বহুল বাড়ী, এছাড়া ও ফেনী ও ঢাকায় রয়েছে বিশাল জায়গা ও বাড়ী পারিবারিক সদস্যদের চলাচলে সুবিধার্থে রয়েছে একাধিক পাইভেট গাড়ী ও মোটর সাইকেল। কামরুল কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ায় ছেলেদের পিছনে ব্যায় করেন প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা । সৈকত ঢাকার বনানীর ইউনাইটেড ইন্টারনেশানাল ইউনির্ভারসিটি তে বিবিএ পড়া লেখা করলেও পাইভেট কার ব্যবহার করতেন সৈকত। ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরাম কিলিং মিশনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে সৈকত কে ঢাকা থেকে র‌্যাব গ্রেফতার করে জাতিয় পত্রিকায় ও ভিডিও ফুটেজে ছবি দেখে লোকজন চিনতে পাড়ে সৈকত কে।