77
উপজেলা প্রতিনিধি,

লক্ষ্মীপুর (দক্ষিণ): পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র ও বেড়িবাঁধ না থাকায় রামগতি উপজেলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল চরগজারিয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছেন অর্ধলক্ষাধিক এলাকাবাসী। তারা ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে কোথায় গিয়ে ঠাঁই নেবেন তার কোনো ঠিকানাই জানা নেই। মেঘনা নদী বেষ্টিত এ চরটি উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে, দুর্গম ও বিচ্ছিন্ন। এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসসহ যে কোনো দুর্যোগের আঘাতে ওইসব চরাঞ্চলে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চরগজারিয়ায় ৯শ পরিবারের আশ্রয়যোগ্য দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আশ্রায়ন প্রকল্প নির্মাণ করা হয়েছে। ঝড়-জলোচ্ছ্বাস এবং মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য চরটির চার পাশে কোনো বেড়িবাধ নেই।

কয়েক হাজার গবাদি পশু থাকলেও সেগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার জন্য নেই কোনো কিল্লা বা উচু জায়গা। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও সুনামীসহ যে কোনো দুর্যোগের সময প্রশস্ত মেঘনা পাড়ি দিয়ে মূল ভূখণ্ডে আসাও ঝুঁকিপূর্ণ। এতে এ চরের কয়েক হাজার মানুষকে দুর্যোগের মুখে নিরাপত্তাহীনতায় বাস করতে হচ্ছে।

বয়ারচর উপজেলার আরেকটি দুর্গম এলাকা। প্রায় একশ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত এ চরে প্রায় ৩০ হাজার লোক বাস করছেন। এ চরের পূর্ব দিকে মেঘনা নদীর সন্ধীপ চ্যানেল, পশ্চিম দিকে শাহবাজপুর (দৌলতখাঁন, তজুমদ্দিন ও মনপুরা) চ্যানেল এবং দক্ষিণ দিকে হাতিয়া চ্যানেল দিয়ে ঘেরা।

দুর্গম এ চর এলাকার মানুষ ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের সময় আশ্রয় নেয়ার জন্য পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, কিল্লা কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়নি। তেমন কোনো রাস্তাঘাট না থাকায় যাতায়াতের নেই কোনো সুবিধা। যে কোনো সময় যে কোনো ধরণের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এ বিস্তীর্ণ চরগুলো মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা হয়ে পড়ে। এতে নারী ও শিশুসহ কয়েক হাজার মানুষ দুর্যোগের মধ্যে অবরুদ্ধ থাকেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, চরআবদুল্লাহ ইউনিয়নের চরগজারিয়ায় ১০টি, চরগাজি ইউনিয়নে পাঁচটি এবং চরবাদাম ইউনিয়নে একটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাবনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে।