সোনাগাজী প্রতিনিধি->>

সোনাগাজীতে মারামারির ঘটনায় করা মামলায় দুই বছরের সাজা পেয়েছিলেন সুজল হক (৫২)। সেই সাজা থেকে বাঁচতে তিনি সৌদি আরবে ১১ বছর পালিয়ে ছিলেন। ১১ বছর পালিয়ে থেকেও তাঁর শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে ধরা পড়েছেন।

সোমবার উপজেলার সুজাপুর এলাকা থেকে সুজল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের চর ডুব্বা এলাকার বাসিন্দা হলেও ঠিকানা পরিবর্তন করে চর ডুব্বা থেকে সুজাপুর এলাকায় এসে বাড়ি করেছেন।

থানা-পুলিশ জানায়, ২০১০ সালে মারামারির অভিযোগে সুজল হকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সোনাগাজী থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। তিনি আর আদালতে হাজির না হয়ে গোপনে সৌদি আরবে চলে যান। ২০১১ সালে আদালত তাঁকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। অপর আসামিরা গ্রেপ্তার হয়ে সাজা খেটে কারাগার থেকে বের হলেও সুজল হক পলাতক ছিলেন।

সোনাগাজী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহবুব আমল সরকার বলেন, আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাওয়ার পর থানার অনেক কর্মকর্তা সুজল হকের খোঁজে মাঠে নামেন। কিন্তু তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। দুই মাস আগে তিনি বিদেশ থেকে দেশে আসেন। এরপরও তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে প্রায়ই স্থান পরিবর্তন করতেন। দুই সপ্তাহ আগে তাঁকে ধরতে তিনি ছদ্মবেশে সুজলের গ্রামের বাড়ির দুটি ঠিকানায় ও সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে গিয়ে খোঁজখবর নেন। পরে এক ব্যক্তির মাধ্যমে সুজল হকের নতুন বাড়ির ঠিকানা, মুঠোফোন নম্বর ও ছবি সংগ্রহ করেন। সেই নম্বরের সূত্র ধরে উপজেলার সুজাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খালেদ হোসেন বলেন, সুজল হককে আদালতের মাধ্যমে ফেনীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।