image

এম. রহিম উল্যাহ বাবুল->>

আগামিকাল ১লা জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে কোমলমতি শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হবে নতুন পাঠ্য পুস্তক। আর প্রতিটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটা করে পালন করবে পাঠ্যপুস্তক উৎসব। তারপরই শুরু হবার কথা বিরামহীন পড়ালেখা। বিদ্যালয়ে পাঠদানের অন্যতম প্রধান উপাদান হলো শিক্ষক।
আর একজন শিক্ষক শুধু পাঠদানই করেন না, তিনি শিশুদের উদ্দীপক, পরিচালক, নির্দেশক,বন্ধু ও বটে। পাঠদান ছাড়াও বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিভিন্ন কর্মকান্ডেও একজন শিক্ষকের অবস্থান ও ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ফেনী জেলার ৫৪০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত নভেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক ৩০৬ শিক্ষককের শূন্য পদ নিয়েই শুরু হতে যাচ্ছে নতুন শিক্ষাবর্ষ ২০১৫।
এদের মধ্যে প্রধান শিক্ষক ১২৪ জন এবং সহকারী শিক্ষক ১৮২ জন। কোন কোন স্কুলে একই সঙ্গে প্রধান শিক্ষকসহ এক বা একাধিক সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য আছে। উপজেলা ওয়ারি হিসাবে ফেনী সদরে ৪৩ টি, দাগনভূঞাতে ১৭ টি, সোনাগাজীতে ২০ টি, ছাগলনাইয়ায় ২১ টি, পরশুরামে ১১ টি এবং ফুলগাজীতে ১২ টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। সহকারী শিক্ষক পদে ফেনী সদরে ৭৯ টি, দাগনভূইয়ায় ৩১ টি, সোনগাজীতে ৩৫ টি, ছাগলনাইয়ায় ১৫ টি, পরশুরামে ১০ টি এবং ফুলগাজীতে ১২ টি পদ শূন্য রয়েছে।আজ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সংখ্যা ৪ শতাধিক হয়ে যাবে, কারণ আজকের মধ্যে অনেক শিক্ষকই এল.পি.আর.এ চলে যাচ্ছেন। এখন এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি হয়ে যেতে পারে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ধারনা করছেন। তাহলে, জেলার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়কেই প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য রেখেই শুরু করতে হবে নতুন শিক্ষাবর্ষ। একই সঙ্গে সহকারী শিক্ষকের পদ গুলোও শূন্য থাকছে। এই ক্ষেত্রে ভীষন ভাবে বিঘ্নিত হবে শিক্ষার্থীদের শ্রেনী কার্যক্রম। পেশাগত কাজে সার্বক্ষনিক ব্যস্ত একজন নিয়মিত শিক্ষকের উপর যখন অন্য এক বা একাধিক শিক্ষকের ক্লাস ও অনান্য কার্যক্রমের ভার বর্তায় তখন তার পক্ষে শ্রেনীতে পাঠদান ও অনান্য প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। বিদ্যালয়ের মাথা তথা প্রধান শিক্ষক না থাকলে বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক ও পাঠদান কাজ আরোও বেশি মারাক্তক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।