নিজস্ব প্রতিনিধি->>
হাসির রাজা ও খ্যতিমান কৌতুক অভিনেতা আনিসুর রহমান আনিস চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ছাগলনাইয়ার দক্ষিণ বল্লভপুর নিজ গ্রামের ভূঞা বাড়ীর পারিবারিক কবরস্থানে। বাদ মাগরিব দক্ষিণ বল্লভপুর জামে মসজিদ ও ঈদগাহ প্রাঙ্গনে দ্বিতীয় জানাযা শেষে আনিসের মরদেহ দাফন করা হয়। এর আগে সোমবার সকাল ৯টায় রাজধানীর টিকাটুলী জামে মসজিদে অভিনেতা আনিসের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
গত রবিবার রাত ১১টায় রাজধানীর টিকাটুলীর বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন আনিস রহমান।

প্রয়াত অভিনেতার জামাতা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন শিমুল জানান, ‘উনি একেবারে সুস্থ ছিলেন। কোনো ধরনের জটিল রোগে ভুগছিলেন না। রাতে নামাজ পড়ে খাবার পরে তিনি ঘুমাতে গিয়েছিলেন। ঘুমের মধ্যেই হার্ট অ্যাটাক করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। চার বছর আগে তাঁর স্ত্রী মারা যান। আনিসর দুই মেয়ে। একজন যুক্তরাষ্ট্রে আর অন্যজন ঢাকায় থাকেন।’

তার বাবা মরহুম আমিনুর রহমান চা বাগানের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৬৫ সালে খালাতো বোন কুলসুম আরা বেগমকে ভালোবেসে বিয়ে করেন আনিস।

১৯৬০ সালে ‘বিষকন্যা’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন আনিসুর রহমান আনিস। কিন্তু ছবিটি মুক্তি পায়নি। ১৯৬৩ সালে মুক্তি পায় আনিস অভিনীত প্রথম ছবি জিল্লুর রহমান পরিচালিত ‘এই তো জীবন’। তারপর থেকে তিনি অভিনয় করেই গেছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তিনি অভিনয় করছেন। ‘নবাব সিরাজদ্দৌলা’ নাটকে গোলাম হোসেন চরিত্রে অভিনয় করে তিনি মঞ্চে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন। আড়াই শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। বেশির ভাগ ছবিতে হাজির হয়েছেন কমেডিয়ান হিসেবে। কিছু ছবিতে আবার তাকে খল চরিত্রেও দেখা গেছে।

আনিস সবখানেই তিনি আঞ্চলিক ভাষাকে উর্ধ্বে তুলে ধরেছেন। অভিনয়ে ফেনী তথা নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষাকে জনপ্রিয় করতে আনিস অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন।
এদিকে কৌতুক অভিনেতা আনিসের চলে যাওয়ায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর। তিনি বলেন, ‘কৌতুক অভিনেতা আনিস আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়ায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত।