image

বিশেষ প্রতিনিধি, ১৭ ডিসেম্বর->>

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও নৃশংস হত্যার স্বীকার একরামুল হক একরামের উপজেলার নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুল আলিম মজুমদারের কে ,উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যেগে বুধবার বিকেলে ফুলগাজী পাইলট হাই স্কুল মাঠে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুল আলিম মজুমদারকে গণসংবর্ধনা প্রদান করা হয় । সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার ও আওয়ামীলীগ নেতা আলাউদ্দিন আহম্মেদ নাসিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ জাহান আরা বেগম সুরমা, জেলা পরিষদের প্রশাসক আজিজ আহম্মদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম, পরশুরাম উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল মজুমদার, দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, ফেনী পৌরসভার মেয়র ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব আলাউদ্দিন, আওয়ামী লীগ নতো খাইরুল বাশার মজুমদার তপন প্রমুখ।
গণসংবর্ধনায় বক্তারা একরামের স্মৃতি চারণ করে তার রেখে যাওয়া অসমাপ্তকাজ শেষ করার জন্য নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের প্রতি অনুরোধ জানান।
এদিকে সভা চলাকালীন সময়ে একরাম হত্যা মামলার অন্যতম আসামী ও আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়া আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদ চৌধুরী জিহাদকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য তার সমর্থকরা শ্লোগানসহকারে মিছিল করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফুলগাজী উপজেলার একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, একরাম হত্যার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা জড়িত তারাই এই গণসংবর্ধনার নামে শোডাউন করে তাদের অবস্থান তুলে ধরেছেন।
গণসংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে প্রধান অতিথি শেখ হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন আহম্মেদ নাসিম ও সাংসদ নিজাম হাজারীর নামে ফেনী-পরশুরাম সড়কে অর্ধশতাধিক তোরণ নির্মানসহ বিভিন্ন স্থানে বেনার ফেষ্টুন সাটান হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২০ মে ফেনীর একাডেমি এলাকার বিলাসী সিনেমা হলের সামনে প্রকাশ্যে ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হককে প্রকাশ্যে গুলি করে, কুপিয়ে ও গাড়ীসহ পুড়িয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তার মৃত্যুর পর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে শুন্য আসনে গত ২১ সেপ্টেম্বর উপ- নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।