বিশেষ প্রতিনিধি->>
দিনাজপুর শহরে মো. সোহেল (৩৩) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।পুলিশের ভাষ্য এসময় সোহেলের কাছে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে । তবে অন্য জায়গা থেকে অস্ত্র এনে ফাঁসানোর জন্য সোহেলকে আটক করা হয়েছে দাবি করে সোমবার রাতে কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করেন স্থানীয়রা। বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আটক মো.সোহেল দিনাজপুর শহরের দপ্তরীপাড়া মহল্লার মৃত রশিদ খালাসীর ছেলে।

দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ উজ্জামান আশরাফ সাংবাদিকদের জানান, ‘সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দিনাজপুর শহরের কোলঘেঁষা পশ্চিম বালুয়াডাঙ্গা রেলব্রিজ এলাকার উচার মোড় থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মো. সোহেলকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে আমেরিকার তৈরি একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এসময় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা করে।’

‘অস্ত্রসহ’ একজনকে আটকের ঘটনায় থানা ঘেরাও, পুলিশের লাঠিচার্জ
সোহেলের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের অস্ত্র আইনে একটি মামলা রয়েছে এবং সে ২০১৩ সালের তোফাজ্জল হত্যা মামলার আসামি বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ উজ্জামান আশরাফ। তিনি জানান, এই অভিযানে তিনি নিজে এবং সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার ও কোতোয়ালি থানার ওসি রেদওয়ানুর রহমান নেতৃত্ব দেন।
এদিকে রাতে কোতোয়ালি থানায় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে পুলিশের সামনেই আটক মো. সোহেল চিৎকার করে বার বার বলছিলেন ‘এই অস্ত্র আমার কাছে ছিল না’। পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলছিলেন, ‘এই অস্ত্র আমার কাছে ছিল না স্যার। কেন আমাকে এই অস্ত্র দিয়ে মামলা দিচ্ছেন।’ এসময় অস্ত্র দিয়ে ছবি তুলতে অস্বীকৃতি জানান সোহেল।
এদিকে এই ঘটনার পর দপ্তরীপাড়া, হটাৎপাড়া, পশ্চিম বালুয়াডাঙ্গা ও উচার মোড় এলাকার শত শত জনতা রাত সোয়া ৮টা থেকে কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করেন। তারা দাবি করেন, সোহেলের কাছে কোনও অস্ত্র ছিল না। পুলিশ তাকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়েছে। দুদিন আগেই একটি মিথ্যা মামলায় জেল থেকে বেড়িয়েছে সে। তারা সোহেলের মুক্তির দাবি জানান এবং মিথ্যা মামলায় তাকে না ফাঁসানোর দাবি তোলেন। এক পর্যায়ে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন এবং কোতোয়ালি থানার প্রধান গেট ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ও বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ রাত সাড়ে ৯টায় লাঠিচার্জ করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা কোতোয়ালি থানা ছেড়ে চলে যায়। রাত ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

সূত্র- বাংলা ট্রিবিউন