বিশেষ প্রতিনিধি->>
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ‘আমার মনে হয় আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী থাকবে। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি থাকবে। বুধবার (৬ জুন) সকালে বরিশালে ইভিএমের ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে এ কথা জানান তিনি।

সিইসি আরো বলেন, ‘ইভিএম-এর ব্যবহার বাড়ানো গেলে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের মতো সব অনিয়ম বন্ধ করা সম্ভব হবে।’ 

ইভিএম বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা সমর্থন দেন। যদি আস্থায় আসে সব কেন্দ্রে সম্ভব না হলেও কিছু কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার সম্ভব। আমরা আশা করি ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসবে। ভোট দেবে। নির্বাচন আসলে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও প্রশাসনের সঙ্গে বসে নির্বাচনী নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক করা হয়।’

বিএনপির নির্বাচনে আসা প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘তারা নির্বাচন আসবে এটা আমরা প্রত্যাশা করি। কিন্তু কোনো দল নির্বাচনে আসবে বা আসবে না এমন কিছু বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কমিশনের আলাদাভাবে উদ্যোগ নেয়ার ক্ষমতা নেই।’

এর আগে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা উচিৎ বলে জানিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) । ৮ এপ্রিল রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়নে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে প্রবাসী ভোটাধিকার প্রবর্তন : সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে তিনি এসব কথা বলেছিলেন।  

ওই সময় তিনি বলেন, ‘আগের নির্বাচনগুলোতে সেনা মোতায়েন হয়েছে। তাই যদি প্রয়োজন হয় আগামী জাতীয় নির্বাচনগুলোতে সেনা মোতায়ন হতে পারে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা বলেছিলেন, ‘পরিষ্কার কথা, সব দল নির্বাচনে না আসলে ভালো নির্বাচন হবে না। আমি আশা করি আগামী নির্বাচনে সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এবং নির্বাচন অংশগ্রহণ করা উচিত।’

তিনি আরো জানান, ‘কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যে বিষয়গুলোতে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। যেমন, নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো কেমন হবে, সরকার কী নিরেপক্ষ থাকবে? এই বিষয়গুলো নির্বাচন কমিশনের বিষয় নয়।’

সূত্র-সময় টিভি অনলাইন