সোনাগাজী প্রতিনিধি->>

সোনাগাজীতে অস্ত্রসহ ডাকাত গ্রেপ্তারের পর রাতে ডাকতকে নিয়ে অভিযানে ডাকাত-পুলিশ গোলাগুলিতে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে সোনাগাজী উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চর সাহাভিকারী গ্রামের হাজীপাড়া এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ডাকাত দলের সদস্যদের গোলাগুলিতে পুলিশের তিন কর্মকর্তাসহ ১০ জন আহত হয়েছে। এসময় গুলিবিদ্ধ জসিম উদ্দিন (৩৫) নামে এক ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, গ্রেফতার জসিম তালিাকাভুক্ত শীর্ষ জলদস্যু ও আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। সে উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চর সাহাভিকারী এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় সোনাগাজীর তালিাকাভুক্ত শীর্ষ জলদস্যু ও আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য জসিম উদ্দিনকে (৩৫) দেশীয় তৈরী এলজি ও দুই রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাতে তাকে নিয়ে অভিযানে যায় পুলিশ। মধ্যরাতে উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চর সাহাভিকারী এলাকায় গেলে জমিসের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুটতে ছুটতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ ও আত্মরক্ষার্থে বেশ কয়েক রাউন্ড পাল্টা গুলি চালায়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জসিম উদ্দিনকে উদ্ধার করে । গুলিবিদ্ধ জসিম উদ্দিনকে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফেনী সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পুলিশি হেফাজতে শনিবার ভোরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সংঘর্ষে পুলিশের এসআই তাজুল ইসলাম, এএসআই রফিকুল ইসলঅম,আরিফুর রহমান, কনষ্টেবল বাবুল সরকার, আবুল হাসেম, শাহাদাত হোসেন, আবদুল মান্নান,আবদুর রব, মোমিনুল হক, আবুল হাসেম আহত হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যরা ফেনী সদর ও সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য ও তালিকাভুক্ত জলদস্যু জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে সোনাগাজী থানায় হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও ডাকাতির অভিযোগে ৯টি করে মামলা রয়েছে। পুলিশের উপর হামলা, ডাকাতির প্রস্তুতিসহ অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার ডাকাত ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদি হয়ে থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় জসিমসহ ১৫-১৬জনকে আসামী করা হয়েছে।